সিয়েরা লিওনে বন্যা ও ভূমিধসে চারশ নয় জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এখন পর্যন্ত ছয় শতাধিক নিখোঁজ রয়েছেন। বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে শুক্রবারও উদ্ধার তৎপরতা চালিয়েছেন দেশটির উদ্ধার কর্মীরা।
সোমবার সকালে ফ্রিটাউনে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের পর এখন পর্যন্ত চারশ নয় জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে রেড ক্রস।
ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইলহাদজ অ্যাস সাই জানান, আজকে (শুক্রবার) আমরা হিসাব করে দেখলাম, চার শতাধিক লোকের প্রাণহানি ঘটেছে।
তবে জাতিসংঘের জেনেভা কার্যালয়ের মুখপাত্র মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ক জেনস লেয়ার্ক জানান, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ এখন পর্যন্ত অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা বলছে, ভুক্তভোগীদের উদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দিন দিন সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসছে।
নিখোঁজদের উদ্ধারে লোকজন এখন অবধি বাড়িঘরের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে উৎকট গন্ধ উপেক্ষা করে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। অনেকেই ভিড় জমাচ্ছেন মর্গের সামনে।
মর্গের বাইরে অপেক্ষমাণ ৩০ বছর বয়সী হওয়ানাতু সিসে জানান, নিজের চাচাকে চিহ্নিত করার জন্য এখানে এসেছেন তিনি। কিন্তু চাচাকে তিনি চিহ্নিত করতে পারেননি।
গত বৃহস্পতিবারই তিনশ জনকে গণকবর দেয়া হয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্থানে রাখা হয়েছে শতাধিক শিশুর মরদেহ। বৃহস্পতিবার গণকবর দেয়ার আগের দিন এক বিবৃতিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছিল, মর্গে এসে তারা যেন স্বজনদের মরদেহ চিহ্নিত করেন।
অন্যথায় বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার মরদেহগুলো যথাযথ সম্মানের সঙ্গে দাফন করা হবে। মর্গে রাখা মরদেহগুলো পঁচে উৎকট গন্ধ ছড়ানোর ফলে মহামারি দেখা দেয়ার আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার গণকবর দেয়া হয় ওই তিনশ জনের মরদেহ।
ফ্রিটাউন থেকে আল জাজিরার আহমেদ ইদ্রিস বলেন, কিছু মানুষ তাদের স্বজনদের মরদেহ খুঁজে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছে। ভূমিধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত থাকার কথাও জানান তিনি।
সূত্র : আল জাজিরা