দিনাজপুরের বন্যার পানি নেমে গেলেও এখনও জেলার ২১৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৪১ হাজার ৬’শ ৫০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়ে আছে। বন্যায় বিধবস্ত এসব মানুষ ত্রাণ চায় না, চায় বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধ। বন্যার পানি সরে যাওযার সাথে বন্যা কবলিত দূর্গত এলাকাগুলোতে বিশুদ্ধ পানি’র চরম সংকট দেখা দিয়েছে। প্রকোপ আকার ধারণ করেছে, পেটের পীড়াসহ নানা রোগ-বালাই। এ কারণে জেলায় এখনও সরকারি ভাবে এক’শ ২৫টি এবং জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি’র ব্যক্তিগত উদ্যোগে আরো এক’শ ২০টি ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প চলছে।
দিনাজপুরের বন্যার্তরা ত্রাণ চায় না, চায় বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধ
দিনাজপুরে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ছয় লাখ ২২ হাজার ৮’শ ৮৪ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ঘরবাড়ির নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৫৯ হাজার ২’শ ৯৯টি। বন্যার কারণে দিনাজপুরে গত ৬ দিনে মারা গেছেন ৩১ জন। এ তথ্য দিয়েছেন,জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মখলেছুর রহমান।
এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক গোলাম মোস্তফা জানান, জেলায় এক লাখ ২৬ হাজার হেক্টর ফসসি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে কয়েক’শ একর জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
দিনাজপুরের বন্যার্তরা ত্রাণ চায় না, চায় বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধ
বন্যার জেলার বিভিন্ন স্থানে রাস্তা,সড়ক,মহাসড়ক বিধবস্ত হওয়ায় এখন দিনাজপুর- গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়ক সহ বেশকিছু সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে দিনাজপুরের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ।
রেলওয়ের দিনাজপুরের জ্যেষ্ঠ প্রকৌশলী আবু জাফর মো. রাকিব হাসান জানান,বন্যায় পানির স্রোতে দিনাজপুর-ঠাকুরগাঁও রেলপথের দু’টি স্থানে এবং দিনাজপুর-পাবর্তীপুর রেলপথের দু’টি স্থানে রেল স্লিপারের নিচের পাথর ও মাটি সড়ে গেছে, বেঁকে গেছে রেল লাইন।রেলপথ সংস্কারের কাজ শুরু করা হলেও কবে নাগাদ রেল চলাচল স্বাভাবিক হবে এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।
এদিকে করতোয়া নদী’র বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ১ নং বুলাকিপুর এবং ৩ নং সিংড়া ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকা নতুন করে বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে।