তারাকান্দি-জোকারচর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ির আওনা ইউনিয়নের স্থল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে ভেঙে গেছে। এতে টাঙ্গাইলের গোপালপুরে যমুনার পানি ঢুকে পড়েছে।
ইতোমধ্যে গোপালপুরের ৪০-৪২টি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। রাতে গ্রামের মসজিদের মাইকে মাইকে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার খবর প্রচার করে জনসাধারণকে সতর্ক করা হয়।
বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় টাঙ্গাইলের গোপালপুর, ভূঞাপুর, ঘাটাইল, কালিহাতী, বাসাইল, টাঙ্গাইল সদর ও সখীপুর উপজেলার কিয়দংশের দিকে ধেয়ে আসছে পানি। এসব এলাকা যেকোনো সময় বন্যাকবলিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে আওনা ইউনিয়নের স্থল এলাকায় বাঁধের ২০ মিটার অংশ ভেঙে যায়। পরে বৃদ্ধি পেয়ে ৫০-৫৫ মিটারে রূপ নেয়।
এতে বাঁধের পূর্ব পাশে অর্ধশতাধিক গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ঝুঁকিতে রয়েছে আরও অন্তত শতাধিক গ্রাম। তিন দিন ধরে বালুর বস্তা ও জিআইব্যাগ ফেলে বাঁধ রক্ষা করার চেষ্টা করছিল জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁধটি রক্ষা করা যায়নি। বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় জামালপুর ও টাঙ্গাইল জেলা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই দুই জেলার সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ঘাটাইল সেনানিবাসও।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাজাহান সিরাজ জানান, জোকারচর-তারাকান্দি বাঁধে ভূঞাপুর অংশের ১০ জায়গায় লিকেজ দেখা দেয়ায় সংস্কার করা হচ্ছে। অর্জুনা ও পিংনায় লিকেজ বেশি দেখা যাওয়ায় সেখানে পাউবো’র লোকজন সারাক্ষণ কাজ করছে। সরিষাবাড়ির কাউয়ামারায় বাঁধ ভেঙে পানি বাঁধের পূর্ব পাশে ঢুকছে। সেখানেও জামালপুর পাউবো এবং সেনাবাহিনী কাজ করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঘাটাইল সেনানিবাসের মেজর মশিউর রহমান বলেন, সড়ক বাঁধ রক্ষায় সেনাসদস্যরা বালুর বস্তা ও জিওব্যাগ ফেলছে।