আইএমএফের ঋণ: প্রথম কিস্তি পেল সরকার

আইএমএফের ঋণ: প্রথম কিস্তি পেল সরকার

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ঘোষিত প্রায় ১০০ কোটি ডলারের (৯৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার) সুদবিহীন ঋণের প্রথম কিস্তি বুধবার পেয়েছে সরকার। সরকারের হিসাবে প্রথম কিস্তির ১৪ কোটি ১০ লাখ ডলার এদিন দুপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগ হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা ও ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ সূত্র এতথ্য নিশ্চিত করেছে।

সরকার চাহিদা মতো পরে তা উত্তোলন করে ব্যবহার করতে পারবে। গত ১২ এপ্রিল আইএফএম বোর্ড সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে এই ঋণের অনুমোদন দেওয়া হয়। দীর্ঘ ১৮ মাস পর বাংলাদেশ আইএমএফ থেকে অর্থ পেল।

প্রসঙ্গত, আইএমএফের কাছ থেকে ১০ বছরের জন্য এই ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ। সাড়ে ৫ বছর গ্রেস পিরিয়ড। আর পরের সাড়ে চার বছরে পরিশোধ করতে হবে। দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক চাপ কাটাতে আইএমএফের বর্ধিত ঋণ প্রকল্পের আওতায় সংস্থাটি এই ঋণের অনুমোদন দিয়েছে।

সূত্র জানায়, অনুমোদিত এই ঋণের অর্থ নিজের প্রয়োজন মতো ব্যবহার করতে পারবে। অবকাঠামো উন্নয়ন, অর্থনৈতিক চাপ মোকাবেলা করে স্থিতিশীলতা আনয়ন, বাজেট বাস্তবায়ন, মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন, ৬ষ্ট পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাসহ সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ অর্থ ব্যবহার করা যাবে।

সূত্র মতে, প্রতি কিস্তিতে ১৪ কোটি ১০ লাখ ডলার করে মোট ৭ কিস্তিতে তিন বছর ধরে এ ঋণ দেওয়া হবে।

জানা গেছে, অনুমোদিত এই ঋণের জন্য আইএমএফ ১৮ মাস আলোচনা করেছে। তারপর সংস্থাটি এই সিদ্ধান্ত নেয়।

আইএমএফ ঢাকা কার্যালয় সূত্র বলছে, দীর্ঘ এই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমান অনুমোদিত এই ঋণের জন্য আইএমএফের সঙ্গে জোর আলোচনা করেন। তিনি আইএফএফ ঢাকা কার্যালয়সহ বোর্ডের চাওয়া তথ্যাদি যৌক্তিকভাবে উপস্থাপন করেন। যার ফলে বাংলাদেশ এই ঋণ পেল।

একই তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সচিবালয়ের মহাব্যবস্থাপক এএফএম আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, আইএমএফ থেকে ঋণ পাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর তৎপর ছিলেই বলেই এটি পাওয়া সম্ভব হয়েছে।

আইএমএফের বর্ধিত ঋণের আওতায় এটি সবচেয়ে বড় ঋণ যা ২৪ সদস্যের বোর্ড সভায় সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়।

অর্থ বাণিজ্য