রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় মাজারের খাদেম ও পল্লী চিকিৎসক রহমত আলী হত্যা মামলায় নব্য জেএমবির ১২ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার শুনানি শেষে ৩ পলাতক আসামিসহ ১২ জনের নামে অভিযোগ গঠন করেন। মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ আগামী ২৩ আগস্ট নির্ধারণ করেছেন বিচারক।
এর আগে আগে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কারাগারে আটক জেএমবির রংপুর অঞ্চলের কমান্ডার জঙ্গি মাসুদ রানা ওরফে মন্ত্রী, ওই জঙ্গি সংগঠনের সদস্য এছাহাক আলী, লিটন মিয়া ওরফে রফিক, আবু সাঈদ, সাখাওয়াত হোসেন, তৌফিকুল ইসলাম, সরওয়ার হোসেন, সাদাত ওরফে রতন ও জাহাঙ্গীর আলমকে আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার বাকি ৩ জঙ্গি পলাতক রয়েছে। তারা হলেন চান্দু মিয়া, রজিউল ইসলাম বাদল ও বাবুল আখতার। এদের মধ্যে মাসুদ রানা, এছাহাক আলী, লিটন মিয়া ও সাখাওয়াত হোসেন চাঞ্চল্যকর জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
এর আগে ওই মামলায় ১৪ জেএমবির সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। এদের মধ্যে আসামি পঞ্চগড়ের নজরুল ইসলাম ওরফে বাইক হাসান গত বছরের ১ আগস্ট রাতে রাজশাহীতে এবং কুড়িগ্রামের সাদ্দাম হোসেন চলতি বছরের ৫ জানুযারি ঢাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।
মামলার বিশেষ পিপি রথিশ চন্দ্র ভৌমিক জানান, মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলায় ১৪ জেএমবি সদস্যের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে জঙ্গি বাইক হাসান ও সাদ্দাম পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আগেই নিহত হয়েছে। বর্তমানে মামলার ১২ আসামি মধ্যে ৯ জন কারাগারে এবং বাকি ৩ জঙ্গি পলাতক রয়েছে। আদালত আগামী ২৩ আগস্ট এ মামলার সাক্ষ্য গ্রেহণের দিন ধার্য করেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর রাতে মাজারের খাদেম ও আওয়ামী লীগ নেতা রহমত আলীকে জবাই করে এবং ওই বছরের ৩ অক্টোবর কাউনিয়ার আলুটারী গ্রামে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।