বন্যাদুর্গত এলাকার জনগণকে স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করতে সিভিল সার্জনদের মাইকিং করে প্রচারণা চালাতে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। একইসঙ্গে মেডিকেল টিমগুলোকে সক্রিয় করে চিকিৎসা ও ওষুধপত্র নিয়ে আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, আত্রাই, ধরলা ও সুরমাসহ ১৭টি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিযে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা অববাহিকায় রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। ফলে ওই সব এলাকার হাজার হাজার মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে আছেন। বন্যার পানিতে ডুবে ও সাপের কামড়ে ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের ন্যাশনাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার ও রোগ নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ইনচার্জ ডা. আয়েশা আক্তার সোমবার সকালে জাগো নিউজকে জানান, বন্যার সময় শিশু ও বৃদ্ধরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকেন। এ সময় পানিতে ডুবে ও সাপের কামড়ে মৃত্যুঝুঁকিও তৈরি হয়। বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাবে জ্বর, ঠান্ডা, কাশি ও চর্মসহ বিভিন্ন রোগব্যাধি দেখা দেয়।
তিনি জানান, বর্তমানে দেশের ১৪টি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এসব এলাকার জনগণ বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে নিরাপদ আশ্রয কেন্দ্রে পাঠানো ও সরকারি স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে জানাতে সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জনদের নির্দেশ প্রদান করেছেন স্বাস্থ্য মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।