বিশ্বব্যাপী একই দিনে রোজা ঈদ ও কুরবানি উদযাপনের আহ্বান

বিশ্বব্যাপী একই দিনে রোজা ঈদ ও কুরবানি উদযাপনের আহ্বান

পৃথিবীর যে প্রান্তেই চাঁদ দেখা যাক সে তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্বব্যাপী একই দিনে রোজা পালন, ঈদ ও কুরবানি উদযাপনের জন্য দেশের ওলামা-মাশায়েখ, গবেষক ও পরমাণু বিজ্ঞানীরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

গতকাল বিকেল ৩টায় রাজধানীর রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে সর্ব প্রথম নতুন চাঁদ দৃশ্যমান হওয়াকে সমগ্র বিশ্বের জন্য ১ তারিখ নির্ধারণ করে একই দিনে রোজা পালন, ঈদ ও কুরবানি উদযাপন উপলক্ষ্যে সেমিনার ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

Korbani

একই দিনে রোজা পালন, ঈদ ও কুরবানি উদযাপনের শরীয়া বিধান ও যৌক্তিকতা তুলে ধরেন সেমিনারে উপস্থিত বক্তরা। এসময় তারা পুরনো রীতিকে ধরে রাখার নামে কোরআন হাদিসকে উপেক্ষা না করারও আহবান জানান।

দীর্ঘ দিন ধরে বাংলাদেশের আলেম সমাজের মাঝে বিরাজমান ‘নিজ দেশের আকাশে চাঁদ দেখে রোজা ও ঈদ পালন করা নাকি বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে রোজা ও ঈদ পালন করা’ এ নিয়ে মতবিরোধ চলে আসছে।

চন্দ্রমাসের সঠিক তারিখ বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটি কুরআন হাদিসের নানা তথ্য ও যুক্তিসহ বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে একই দিনে রোজা পালন ও ঈদ এবং কুরবানি উদযাপনের পাশাপাশি হিজরি তারিখ সারা বিশ্বে একই দিন নির্ধারণ করার পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেন।

আগে প্রযুক্তির সহায়তা না থাকায় বিশ্বব্যাপী ভিন্ন দিনে ঈদ উদযাপন করা হতো। কিন্তু এখন প্রযুক্তির কল্যাণে বিশ্বব্যাপী একই দিন ঈদ পালন করলেও বাংলাদেশের অনেকেই তা থেকে পিছিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেন সেমিনারে উপস্থিত আলোচকরা।

Korbani

চন্দ্র মাসের সঠিক তারিখ বাস্তবায়ন কমিটির দাবি, ‘পৃথিবীতে নতুন চাঁদ একটাই এবং এ দাবি সমগ্র মানবজাতিরও।

সেমিনারে উপস্থিত দার্শনিক ও পরমাণু বিজ্ঞানীরা জানান, ‘সমগ্র বিশ্বের সঙ্গে মিল না রেখে আলাদাভাবে রোজা, ঈদ ও কুরবানি পালন করার জন্য মূলত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটিই দায়ী।

আগামী কুরবানির ঈদের আগেই সরকারের জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করার আহ্বান জানান বক্তারা।

ইসলামী জগত