কক্সবাজারের টেকনাফে ভোটার নিবন্ধনে টাকা নেয়ার অভিযোগে তথ্যসংগ্রহকারী এক শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বরখাস্তকৃত ওই শিক্ষকের নাম দেলোয়ার হোসাইন। তিনি উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও হ্নীলা ইউনিয়নের মুচনী এলাকার বশির আহমদের ছেলে।
চাকরি থেকে বরখাস্ত এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনও ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছেন বলে উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানিয়েছে। মঙ্গলবার ওই শিক্ষকের বরখাস্তের আদেশ সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভোটার হালনাগাদ বিশেষ কমিটির সভাপতি জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক জানান, ভোটার হালনাগাদে লোকজনের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগটি প্রমাণিত হওয়ায় শিক্ষক দেলোয়ারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির পর চাকরি থেকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনও ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি জানান।
লেদা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিন জানান, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালযের ১৭.০৩.২২৯০.০০০.৩২.০১২.১৭.৭৯ স্মারক মূলে আদেশ পেয়ে ৮ আগস্ট বেলা ১১টায় কমিটির সভাপতি ও অন্য সদস্যদের সম্মতিক্রমে দেলোয়ার হোসেনকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তথ্যসংগ্রহকারীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তদন্তে টাকা নেয়ার বিষয়টি স্পষ্ট প্রমাণিত হওয়ায় বিদ্যালয়ের চাকরি থেকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। ভোটার হালনাগাদে অনিয়ম পেলেই দ্রুত এই ধরনের ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, গত ১ আগস্ট ‘টেকনাফে টাকার বিনিময়ে ভোটার অর্ন্তভুক্তির অভিযোগ’ শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। উক্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন সরেজমিন তদন্ত করে তথ্য সংগ্রহকারী এই শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন। উপজেলার অন্যান্য এলাকায় দায়িত্বপালনকারী তথ্যসংগ্রহকারীদের অনিয়মের বিষয়টিও খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা। ভোটার হালনাগাদে অনিয়ম করায় অব্যাহতি প্রাপ্ত তথ্যসংগ্রহকারী শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার ঘটনায় টেকনাফ উপজেলাসহ পুরো জেলায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।