‘ব্লেমগেইম’ রাজনীতিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের হল শাখার নেতাকর্মীরা। হলে থেকেও বিভাগ কিংবা অনুষদের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় নিজ সংগঠনেরই নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আনা হচ্ছে নারী কেলেঙ্কারি, বিরোধী ছাত্র সংগঠনে সম্পৃক্ত হওয়াসহ নানা অভিযোগ।
তবে ঢাবি ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ ধরনের রাজনীতির কোনো সুযোগ নেই। কেউ এমন কাজ করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্প্রতি বিজনেস ফ্যাকাল্টি ছাত্রলীগের সভাপতি মো. বোরহান উদ্দিনকে মারধর করে কবি জসীম উদ্দীন হলছাড়া করে ওই হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ খানের অনুসারীরা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, হলের এক কর্মচারীর মেয়ের সঙ্গে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় তাকে পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে হল প্রশাসনের তদন্তে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে জিয়া হল ছাত্রলীগের সভাপতি ইউসুফ উদ্দিন খানের অনুসারীরা সমাজবিজ্ঞান বিভাগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দু্ল্লাহকে ‘শিবিরের’ রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ এনে হল ছাড়া করে।
তবে ওই ছাত্রের অভিভাবক (চাচা) আব্দুল আজিজ দাবি করেন, আব্দুল্লাহ হলে থেকেও বিভাগীয় ছাত্রলীগের রাজনীতি করায় তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়েছে। সমাজবিজ্ঞান বিভাগ ছাত্রলীগের সভাপতি সানজিদও স্বীকার করেন আব্দুল্লাহ তার কমিটির পদে আছেন।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স বলেন, হল ও অনুষদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বের সুযোগ নেই। তবে ওই শিক্ষার্থী স্বীকার করেছে যে, সে শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
এ বিষয়ে ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি আবিদ আল হাসান বলেন, হল ও বিভাগের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। আর জিয়া হলের বিষয়টি আমার নলেজে নেই। এমন কোনো অভিযোগ পেলে আমরা অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।