সংসদ ভবন থেকে: যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন বলেছেন, টেন্ডার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে এ সরকারের মেয়াদকালের মধ্যেই পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।
রোববার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে জাতীয় পার্টির (জাপা) নূর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী এক লিখিত প্রশ্নে জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন।
লিলি চৌধুরী তার প্রশ্নে বলেন, ‘দেশের বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু নির্মাণের ব্যাপারে সরকারের বর্তমান পদক্ষেপ কী এবং বর্তমান সরকারের আমলে কাজ শুরু করা সম্ভব হবে কি-না?
জবাবে যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন বলেন, ‘বেনামী বা ভিত্তিহীন যে কোনও প্রকার অভিযোগ-ই হোক না কেন, বিশ্বব্যাংকে তা তদন্তের নিয়ম রয়েছে। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের বিষয়ে কেউ হয়তো বিশ্বব্যাংকের কাছে অভিযোগ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই সংস্থা তদন্ত করছে। তাছাড়া বাংলাদেশ সরকারও তদন্ত করছে। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা চলছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আশা করা যায়, শিগগিরই বিষয়টি নিষ্পত্তি করে টেন্ডার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে এ সরকারের মেয়াদকালের মধ্যেই পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।’
মো. রহমত আলীর এক প্রশ্নের জবাবে আবুল হোসেন জানান, রুট পরিবর্তনের কারণে মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন বিলম্ব হওয়ার তথ্য সঠিক নয়। আশা করা হচ্ছে, ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ সময়ে মেট্রোরেল নির্মাণের বিষয়ে জাপান সরকারের সঙ্গে লোন নেগোসিযেশনের কাজটি সম্পন্ন হবে।
তিনি আরও জানান, বর্তমান সরকারের মেয়াদকালের মধ্যেই মেট্রোরেলের কাজ শুরু করে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ শেষ করার ব্যাপারে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আবুল হোসেন বলেন, দেশের ৪ হাজার ৪৫২ দশমিক ৩ কিলোমিটার রাস্তা খারাপ। এগুলো মেরামতের জন্য ধার্য ছিল ১ হাজার ৪শ’ ১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে আমি গতবছর ৫৭ কোটি এবং এ বছর পেয়েছি ৫০ কোটি টাকা।
আওয়ামী লীগের শহীদুজ্জামান সরকার সম্পূরক প্রশ্নে বলেন, আমার এলাকায় দুটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য ২ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও দেড় কোটি টাকা কেটে নেওয়া হয়। সরকারের সময় আছে আর দুই বছর। এই সময়ের মধ্যে টাকা বরাদ্ধ না হলে কাজ শেষ হবে কীভাবে?
জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘যতটুকু কাজ হয়েছে সেটির জন্যও আমাকে অনেক চেষ্টা করতে হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প রি-এপ্রোপিয়েট করতে। আমি সেভাবেই করেছি। বিষয়টি অর্থমন্ত্রী ছাড়াও পরকিল্পনামন্ত্রীও জানেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রীও জানেন। বিভিন্ন প্রকল্প যখন রি-এপ্রোপিয়েট করা হয়, তখন অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আমাকে বলা হয়েছে, পরবর্তীতে বরাদ্দ পাওয়া যাবে। আমি সেই অপেক্ষায় আছি।’
এবিএম আনোয়ারুল হক সম্পূরক প্রশ্নে তার এলাকায় ঘিওর নদীর ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণের বিষয়ে জানতে চান।
জবাবে যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থের অনেক সংকট। ব্রিজের পরিবর্তে সেখানে আপাতত বেইলি ব্রিজ করছি। বাকিটা এমপির বিবেচনার ওপর ছেড়ে দিলাম।’