বিএনপির নিখোঁজ সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলীকে শনিবারের মধ্যে ফিরে পাওয়া না গেলে রোব ও সোমবার টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল করবে বিএনপি।
আগামী শনিবার সারাদেশের থানায় থানায় বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র।
দলটির দায়িত্বশীল এক নেতা বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, সোমবার রাতে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠকেই রোববার থেকে টানা তিন দিন হরতালের আলোচনা হয়। কিন্তু ১ মে বিশ্ব ‘মে দিবস’ হওয়ায় তার আগের দু’দিন ২৯ ও ৩০ এপ্রিল হরতাল পালনের সিদ্ধান্ত হয়। সূত্রমতে, ইলিয়াস ইস্যুতে সরকারকে মোটেই ছাড় দিতে রাজি নয় বিএনপি। এক এক করে পর পর তিন দিন হরতাল পালন করে তারা বেশ বুঝে গেছে, লাগাতার হরতাল পালনের সামর্থ রয়েছে তাদের। কিন্তু জনগণ যাতে আবার নাখোশ না হয় সে দিকটিও ভাবতে হচ্ছে দলের হাই কমান্ডকে।
তাই হালকা কর্মসূচিতে চার দিন পার করে আবার টানা হরতালের দিকেই ঝুঁকছে বিরোধী দল।
তবে এ বিষয়ে এখনই কোন ঘোষণা দিতে রাজি নয় প্রধান বিরোধী দল। দলের হাই কমান্ডকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আরো কঠোর আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে নেতা-কর্মীদের।
মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনেও খালেদা জিয়ার বক্তব্যে অনেকটা হরতালেরই আগাম আওয়াজ পাওয়া গেছে যেন।
সদ্য শেষ হওয়া তিন দিনের হরতাল প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘সরকারই আমাদের হরতাল ডাকতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, আমাদের কর্মসূচি ছিল শান্তিপূর্ণ। সরকার ও সরকারি দলই উস্কানি সৃষ্টি ও হরতাল-বিরোধী কর্মসূচি দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তোলে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথমে একদিনের হরতাল ডেকেছিলাম। পরে সরকারের আচরণেই তা বাড়াতে বাধ্য হই। সরকারের কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণের কারণেই আমাদের হরতাল কর্মসূচিকে তিন দিন পর্যন্ত বাড়াতে হয়েছে। আজও ইলিয়াস আলী ও তার গাড়ি চালককে জনসমক্ষে আনা হয়নি। কাজেই আমাদের আন্দোলন থামানোরও কোনো সুযোগ নেই।’
খালেদা জিয়ার এ বক্তব্য মূলত পরবর্তী হরতালের ইঙ্গিত বলেই আভাস দিয়েছে দলীয় সূত্র।
এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থায়ী কমিটির অপর এক নেতা বলেন, ‘আমাদের দাবি ইলিয়াস আলীকে ফেরত পাওয়া। তাই আমাদের ছাড় দেওয়ার কোন সুযোগ নেই।’