রাজতন্ত্রকে তিরস্কার করে ভিডিও পোস্ট করার দায়ে থাইল্যান্ডে এক ব্যক্তিকে ১৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। বুধবার অভিযুক্ত ব্যক্তির আইনজীবীর বরাত দিয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, জান্তা শাসিত থাইল্যান্ডে রাজতন্ত্র এবং সেনাবাহিনীর সমালোচকদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ ব্যাপক কঠোর।
স্থানীয় আইনী পর্যবেক্ষক গ্রুপ আই ল বলছে, ২০১৪ সালে সেনা অভ্যুত্থানে শাসন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসার পর জান্তা শাসিত থাইল্যান্ডে বিভিন্ন আইনের ব্যবহার করে অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত শতাধিক মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
সাজাপ্রাপ্ত ৬১ বছর বয়সী অভিযুক্তের নামের শেষ অংশ তারা বলে তার আইনজীবী জানিয়েছেন। রাজতন্ত্রকে অবমাননা করে অনলাইনে ভিডিও পোস্ট করার দায়ে ২০১৫ সালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে রাজাকে অপমান এবং কম্পিউটার অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
থাইল্যান্ডের ফৌজদারি কোডের ১১২ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘনের দায়ে তারাকে ১৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ব্যাংকের একটি সেনা আদালত। ওই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাজা, রাণী, রাজতন্ত্রের উত্তরাধিকারী বা শাসককে অবমাননা অথবা অপমান করে এবং হুমকি দেয়; এমন যে কেউ ১৫ বছরের বেশি কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
থাই আইনজীবীদের মানবাধিকার বিষয়ক সেন্টারের প্রধান ও অভিযুক্ত ব্যক্তির আইনজীবী ইয়াওয়ালাক অনুফান বলেন, ২০১৫ সাল থেকে কারাগারে থাকা তারার বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গ্রহণ করে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। পরে দুই বছর সাজা কমানো হয়।
তিনি বলেন, আদালতের এই সাজার বিরুদ্ধে তারা আপিল করতে পারবেন না। কারণ থাইল্যান্ডে সামরিক আইন জারি থাকাকালীন তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন।
সেন্সরশিপ এবং মামলার মাধ্যমে সমালোচকদের ভয় দেখিয়ে দেশটিতে দমন-পীড়ন চালাচ্ছে বলে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা থাই কর্তৃপক্ষকে অভিযুক্ত করেছে। তবে সেনাশাসিত থাই জান্তা সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, তারা জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে কাজ করছেন।