যুক্তরাষ্ট্রের গড় তাপমাত্রা নাটকীয়ভাবে দ্রুত বেড়ে গেছে। বিগত ১৫শ’ বছরের মধ্যে দেশটির জলবায়ু সাম্প্রতিক দশকগুলোতে সবচেয়ে উষ্ণতম।
মঙ্গলবার দেশটির ফেডারেল সরকারের একটি খসড়া প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস একথা জানিয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ‘আমেরিকানরা এখন জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব অনুভব করতে পারছে।’
১৩টি ফেডারেল সংস্থা প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। এখনও এটি প্রকাশিত হয়নি বা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন এর অনুমোদনও দেয়নি।
খবর এএফপি’র।
টাইমস বলছে, প্রতিবেদনটি ট্রাম্প ও তার কেবিনেট সদস্যদের দাবির সঙ্গে স্পষ্টত সাংঘর্ষিক। কারণ তারা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনে মানুষের ভূমিকার বিষয়টি নিশ্চিত নয় এবং এ পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে বলতে পারার ক্ষমতাও সীমিত।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্লাইমেট এসেসমেন্টের অংশ এই খসড়া প্রতিবেদন প্রতি চার বছর পর পর তৈরি করা হয়। ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্স এটিতে স্বাক্ষর করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার ঘোষণা দিয়েছে, বৈশ্বিক উষ্ণতা বিষয়ক প্যারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার পরিকল্পনা সত্ত্বেও নিজ স্বার্থ সংরক্ষণে তারা আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আলোচনায় অংশ নেয়া অব্যাহত রাখবে।
ট্রাম্প ২০১৫ সালের জলবায়ু বিষয়ক প্যারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়ার দুই মাস পর তার প্রশাসন অতিসম্প্রতি এ বিষয়ে জাতিসংঘকে নোটিশ করেছে।
উল্লেখ্য, চীনের পর যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম কার্বন নিঃসরণকারী দেশ।