প্রতিবেশী চার দেশের বাণিজ্য অবরোধে সংকটে থাকা উপসাগরীয় দেশ কাতারকে নিজেদের ‘মিত্র বা বন্ধুরাষ্ট্র’ বলে মনে করেন মাত্র ২৭ ভাগ মার্কিন নাগরিক।
সম্প্রতি আরব নিউজ ও ইউগভের করা এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। গত জুলাই মাসে ২ হাজার ২৬৩ জন মার্কিন নাগরিকের ওপর এ জরিপ চালানো হয়। খবর- আরব নিউজের।
জরিপের ৩১ শতাংশ মার্কিনি কাতারকে অবন্ধুভাবাপন্ন বা শত্রুরাষ্ট্র বলে মনে করে। তবে দোহার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কেমন তা নিয়ে কোনো ধারণা নেই বা কিছু ভাবেন না ৪৩ শতাংশ মার্কিনি।
দুই মাস আগে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসর প্রতিবেশী দেশ কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। সেইসঙ্গে বাণিজ্য অবরোধ আরোপ করে। এ নিয়ে সৃষ্টি কাতার সংকটের ফলে দেশটির প্রতি মার্কিন নাগরিকদের মনোভাব যাচাইয়ে এ জরিপ চালানো হয়।
ওই জরিপে আরও উঠে আসে, ৭১ ভাগ মার্কিন নাগরিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে কূটনৈতিক বিষয়ে সচেতন। তারা কাতার সংকটের কারণে সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন। তবে ৬৭ ভাগ নির্দিষ্টভাবে মনে করেন সন্ত্রাসবাদে সহায়তার অভিযোগে ও আঞ্চলিক দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে অনধিকারচর্চার কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
কাতারে থাকা মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় মার্কিন সামরিক ঘাঁটি নিয়েও জনতার মত চাওয়া হয় জরিপে। ওই ঘাঁটিতে ১১ হাজার মার্কিন সেনা অবস্থান করে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৪৯ শতাংশ বলেন, ঘাঁটিটি কাতারে রাখা ভালো হবে কিনা তারা তা নিয়ে তারা অনিশ্চিত। তবে ২০ শতাংশের মতে ঘাঁটিটি কাতার থেকে অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়া উচিত, যেখানে ৩১ ভাগ মনে করেন এটি কাতারেই রাখা উচিত।
কাতারের মালিকানাধীন বিশ্ব গণমাধ্যম আল জাজিরা প্রসঙ্গও এসেছে জরিপে। এতে প্রতি ১০ মার্কিনির ৬ জনেরও বেশি বিশ্বখ্যাত এ সংবাদমাধ্যম সম্পর্কে জানান- যাদের অনেকে আল জাজিরা নিয়ে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন। অর্ধেক মার্কিনি ভাবেন বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তির ক্ষেত্রে আল জাজিরার নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে।
তবে কাতার সম্পর্কে নিজেদের সাধারণ মত জানতে চাইলে দেখা যায়, অংশগ্রহণকারীদের অর্ধেকরই এ বিষয়ে পর্যাপ্ত ধারণা নেই।
তবে মাথাপিছু আয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ কাতার সংকটের পেছনে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের অভিযোগকে কারণ হিসেবে মানেন ৩৪ শতাংশ। বিপরীতে ১৬ ভাগের মত, ২০২২ সালে কাতারে ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে উপসাগরীয় দেশগুলোর বিরোধ কাতার সংকটের কারণ।