মালয়েশিয়ার সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ৪শ’র বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তানের নাগরিক। স্ট্রেইট টাইমসের খবরে জানানো হয়েছে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ২৭৫ জনকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
রাজধানী কুয়ালালামপুরে পরপর বেশ কয়েকটি অভিযানে এদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে পুলিশ জাল পাসপোর্ট এবং মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের ভুয়া কাগজপত্র জব্দ করেছে।
এক সপ্তাহ পরই দেশটিতে সাউথ-ইস্ট এশিয়ান গেমস শুরু হতে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবারের ওই অভিযানে বেশ কয়েকটি বাড়িতে পুলিশ দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করেছে এবং বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত ও অনুসন্ধানের জন্য এদের নিকটস্থ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিখোঁজ বা ভ্রমণের ভুয়া কাগজপত্র বহনকারী ব্যক্তি, সিরিয়া ও ইরাকে গিয়ে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত হতে পারে এমন মানুষদের লক্ষ্য করেই এই অভিযান চালানো হয়েছে।
বিদেশী কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তির সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে কিনা বিশেষ করে সিরিয়া ও ইরাকে সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে কেউ যুক্ত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ধরনের কোনো প্রমাণ পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে রোববার মালয়েশিয়ায় বাংলা মার্কেট ও মসজিদ ইন্ডিয়ায় অভিযান চালিয়েছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ ও যৌথ বাহিনী। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার এ অভিযানে বাংলাদেশিসহ দুই শতাধিক অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনামসহ বেশ কিছু দেশের নাগরিক রয়েছেন।
শনিবার ওই একই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫শ’র বেশি অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতার করা হয়। ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক মোস্তাফার আলী সাংবাদিকদের জানান, সস্তা মজুরির কারণে কিছু কিছু নিয়োগকর্তা বৈধ পারমিট ছাড়া বিদেশি কর্মীদের নিয়োগের মাধ্যমে বারবার আইন ভাঙার চেষ্টা করছেন। এই সমন্বিত প্রক্রিয়াটি ক্রমাগতভাবে চালিয়ে আসছেন তারা। যা আইনশৃঙ্খলার লঙ্ঘন। তাই ধারাবাহিক রুটিন হিসেবে এই অভিযান চালানো হচ্ছে।