এএইচএফ কাপ হকিতে টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ হকি দল। টুর্নামেন্টে অপরাজেয় থেকে এই সফল্য পেয়েছে তারা। অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমি ব্যাংকক থেকে মোবাইলফোনে একান্ত সাক্ষাৎকারে তাদের পারফরমেন্সের কথা বলেছেন।
প্রশ্ন: অধিনায়ক হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অভিজ্ঞতা কেমন?
জিমি: খুবই ভালো লাগছে শিরোপা ধরে রাখতে পেরে। চার বছর আগে সিঙ্গাপুরে এই টুর্নামেন্টে শিরোপা জিতেছিলাম আমরা। এবার একটা চ্যালেঞ্জ ছিলো দেশের হকির স্বার্থে আমাদেরকে চ্যাম্পিয়ন হতে হবে। সবাই জান দিয়ে খেলেছে। দলের প্রত্যেক সদস্যের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
প্রশ্ন: আপনাদের কি বিশ্বাস ছিলো চ্যাম্পিয়ন হতে পারবেন?
জিমি: আমরা খেলার মধ্যেই ছিলাম। হয়তো বড় কোন টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ হয়নি। যার সুফল এই টুর্নামেন্টে আমরা পেয়েছি। আরেকটি কথা আমাদের কোচ হারুন ভাই (মাহাবুব হারুন) খুবই ভালো পরিকল্পনাকারী। তিনি যে নির্দেশ নিয়েছেন আমরা মাঠে তা কার্যকর করতে চেষ্টা করেছি। আমাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ছিলো সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারবো। পুরো টুর্নামেন্টে আমরা খুব ধারাবাহিক ভালো খেলে জিতেছি।
প্রশ্ন: এই সাফল্য দেশের হকিতে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে?
জিমি: সত্যি কথা বলতে আমরা হকিকে আগের জায়গায় নিয়ে যেতে চাই। আমার বিশ্বাস এই সাফল্য কাজে লাগিয়ে দেশের হকি এগিয়ে যাবে। ফেডারেশনের কর্মকর্তারা আগের চেয়েও বেশি উজ্জীবিত হয়ে কাজ করতে পারবেন। আমাদেরকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ করে দেবেন। দেশেও নিয়মিত লিগ এবং অন্যান্য খেলা হবে।
প্রশ্ন: এশিয়ান গেমসে এই ওমানের কাছে শেষ ম্যাচ হেরেছিলেন আপনারা। এবারের দলটা কি দুর্বল ছিলো না আপনারা বেশি ভালো খেলেছেন?
জিমি: আসলে এশিয়ান গেমসে একটা অঘটন ঘটেছিলো। এগিয়ে থেকেও হেরে গিয়েছিলাম আমরা। ওমান ভালো হকি খেলে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তারা ফাইনালে এসেছে। তাদের চেয়ে অনেক বেশি ভালো খেলে আমরা জিতেছি।
প্রশ্ন: আপনাদের দলটা তো অভিজ্ঞ এবং তরুণদের নিয়ে গড়া। সিনিয়রদের কাছ থেকে কতটা সহযোগিতা পেয়েছেন?
জিমি: অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। আগে কোচের কারণে দলের ভেতরে বিবাদ লেগে থাকতো। আমাদের বর্তমান কোচ খেলোয়াড়দের বোঝেন। খুবই আন্তরিক। দলের ভেতরে কোন বিভেদ ছিলো না। আশা করি ভবিষ্যতেও একই ধারা বজায় থাকবে।
প্রশ্ন: কোচ হিসেবে মাহাবুব হারুনকেই কি চান আপনারা?
জিমি: অবশ্যই তিনি সফল কোচ। এ নিয়ে দু’বার এএইচএফ কাপে চ্যাম্পিয়ন দলের কোচ তিনি। খেলোয়াড়দের কাছ থেকে শতভাগ আদায় করে নিতে পারেন। জাতীয় দলে খেলাটা আমাদের জন্য সম্মানের। আমি মনে করি হারুন ভাইয়ের মতো কোচ থাকলে আমরা জান দিয়ে খেলবো।