ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয় হত্যাকাণ্ডের দুই বছরেও মামলাটির কোন কুল-কিনারা বের করতে পারেনি তদন্ত সংস্থা। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের নাম শনাক্ত করা হলেও তাদের পরিচয় এখনও খুঁজে পায়নি তারা।
দুই বছরেও মামলাটির তদন্ত শেষ না হওয়ায় হতাশ নিহতের পরিবার। তারা সঠিক বিচারের আশায় এখনও পথ চেয়ে আছেন। মামলাটির সুষ্ঠু বিচার চান নিহতের পরিবার। এ বিষয়ে নিহত নিলয়ের স্ত্রী ও মামলার বাদী আশা মনি জাগো নিউজকে বলেন, দুই বছরেও মামলাটির তদন্ত শেষ না হওয়ায় হতাশ আমরা। আমরা চাই প্রকৃত খুনিদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় যেন আনা হয়। তিনি আরও বলেন, যে চলে গেছে তাকে তো আর খুঁজে পাব না, তাকে যারা হত্যা করেছেন তাদের যেন শাস্তি হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক বাহাউদ্দিন ফারুকি বলেন, ব্লগার নিলয়কে হত্যা করেছেন নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যরা। আমরা আসামিদের নাম শনাক্ত করেছি। তাদের সাংগঠনিক নাম পাওয়া গেছে। তবে তাদের প্রকৃত নাম ঠিকানা না পাওয়ায় গ্রেফতার করতে পারছি না। তিনি আরও বলেন, মামলাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত চলছে। এ পর্যন্ত মামলায় আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আশা করছি খুব শিগগিরই আসামিদের গ্রেফতার করতে পারব। তাদের গ্রেফতার করতে পারলেই মামলাটির চার্জশিট দেয়া হবে।
২০১৫ সালের ৭ আগস্ট রাজধানীর গোড়ানের ১৬৭ নম্বর বাড়ির পঞ্চম তলায় ব্লগার নিলয়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে ওইদিনই হত্যার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা (একিউআইএস)।
ঘটনার দিন রাতে নিহত নিলয়ের স্ত্রী আশা মনি অজ্ঞাত পরিচয় চারজনকে আসামি করে খিলগাঁও থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর বিভিন্ন সময় আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের আট সদস্যকে গ্রেফতার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। পরে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেয়া হয়।
গ্রেফতার আটজনের মধ্যে খায়রুল ইসলাম, কাওছার হোসেন সর্দার ও কামাল হোসেন সরদার কারাগারে আটক রয়েছেন। বাকি পাঁচ আসামি তরিকুল ইসলাম, মাসুদ রানা, মর্তুজা ফয়সাল সাব্বির ও মাওলানা মুফতি আবদুল গাফফার জামিনে আছে। খায়রুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।