বিদেশে পলাতক বঙ্গবন্ধু হত্যার আত্মস্বীকৃত খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্রলীগ।
রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু মানেই শোষণহীন সমাজের স্বপ্নের প্রতিচ্ছবি। ১৯৭৫’র কালরাতে স্বপ্নের সমাধি করে এই জাতিকে চিরতরে অভিভাবকশূন্য করে একদল নরপিশাচ, ক্ষমতালোভী, ঠাণ্ডামাথার খুনিচক্র। এরপরের দুই দশকে বাঙালির ইতিহাস শুধুই পিছিয়ে যাওয়ার, হতাশার আর বঞ্চনার।
তারা বলেন, গুটিকয়েক কুলাঙ্গারের জন্য কোটি বাঙালিকে বিশ্বময় দুই দশক পিতৃ হন্তারকের কালিমা ললাটে নিয়ে ঘুরতে হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আরও সাত আসামি এখনও বিভিন্ন দেশে পলাতক রয়েছেন।
ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে মানববন্ধন সঞ্চালন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন।
মানববন্ধন শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর দাবি আদায়ে একটি স্মারকলিপি দেয় ছাত্রলীগ।
স্মারকলিপিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশে বলা হয়, দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের ফাঁসির রায়ের সাত বছর পরও অন্যদের দেশে ফিরিয়ে আনতে না পারায় সমগ্র জাতির মতোই ছাত্রলীগ হতাশ। তাই আমাদের বিশ্বাস জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের স্বঘোষিত খুনিদের দেশে এনে ফাঁসির মঞ্চে তুলে খুনের রাজনীতি বন্ধে পৃথিবীতে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে আপনার মন্ত্রণালয়।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পলাতক সাত আসামির মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল আজিজ পাশা জিম্বাবুয়েতে অবস্থানকালে মারা যান। অপর ছয়জনের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল খন্দকার আব্দুর রশিদ পাকিস্তানে, লে. কর্নেল নূর চৌধুরী ও লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিম কানাডায়, রিসালদার মোসলেউদ্দিন থাইল্যান্ডে, লে. কর্নেল এম এ রাশেদ চৌধুরী আফ্রিকায় এবং ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ কেনিয়ায় অবস্থান করছেন।