পরাজয় ছিল অবশ্যম্ভাবী। ৬২২ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ১৮৩ আউট হয়ে যাওয়ার পর ৪৩৯ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কার ব্যাট করতে নামার পরই সবাই ধরে নিয়েছিল ইনিংস পরাজয় ঘটছে স্বাগতিকদের। তবে সেই পরাজয়টা একটু বিলম্বিত হয়েছে দুই ব্যাটসম্যানের দৃঢ়তায়। দিমুথ করুনারত্নে আর কুশল মেন্ডিসের অসাধারণ দুটি সেঞ্চুরি সত্ত্বেও ইনিংস ব্যবধানে হারতে হলো শ্রীলঙ্কাকে। পরাজয়ের ব্যবধান এক ইনিংস ও ৫৩ রান। সে সঙ্গে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে এক ম্যাচ হাতে রেখেই জিতে নিল ভারত।
টেস্ট র্যাংকিংয়ে এক নম্বর বোলারের জায়গাটি দখলে রবীন্দ্র জাদেজার। সেরার মতই সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন তিনি কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে। একাই ৫টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ২টি নিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া এবং ১ উইকেট নিয়েছেন উমেষ যাদব।
তৃতীয় দিন শেষ মুহূর্তে কুশল মেন্ডিস সেঞ্চুরি করে আউট হয়ে গেলেও লঙ্কানদের আশার প্রদীপ হয়ে মিটি মিটি জ্বলছিলেন দিমুথ করুনারত্নে। ৯২ রানে তিনি ছিলেন অপরাজিত। তার সঙ্গে উইকেটে নেমে অপরাজিত ছিলেন পুষ্পকুমারা।
ইনিংস পরাজয় এড়ানোর জন্য আরও ২৩০ রান প্রয়োজন ছিল শ্রীলঙ্কার। চতুর্থদিন সকালে ব্যাট করতে নেমে খুব বেশি নয়, আর মাত্র ২৯ রান যোগ করার পরই বিদায় নেন পুষ্পকুমারা। নিজের নামের পাশে যোগ করেন ১৬ রান।
এরই মধ্যে সেঞ্চুরি পূরণ করে নেন দিমুথ করুনারত্নেও। এ নিয়ে ক্যারিয়ারে ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরি করেন তিনি। পুষ্পকুমারা আউট হয়ে যাওয়ার পর অধিনায়ক দিনেশ চান্ডিমাল দারুণ হতাশা উপহার দেন। মাত্র ২ রান করে বিদায় নেন তিনি। এরপর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজকে নিয়ে কিছুটা লড়াই চালিয়ে যান করুনারত্নে। ৬৯ রানের জুটি গড়ার পর বিচ্ছিন্ন হন তারা দু’জন। ১৪১ রান করে আউট হন করুনারত্নে।
৩৬ রান করে আউট হন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ। নিরোশান ডিকভেলা ৩১ রান করে আউট হয়ে যাওয়ার পরই মূলতঃ শ্রীলঙ্কার লড়াই করার সব আশা শেষ। এরপর ছিল শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। দ্বিতীয় সেশনের প্রায় অর্ধেক বাকি থাকতেই শ্রীলঙ্কার পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায়। ৩৮৬ রানেই অলআউট হয়ে গেলো শ্রীলঙ্কা। পরাজয় ইনিংস ও ৫৩ রানের ব্যবধানে। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা।