হজযাত্রী পরিবহনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বাতিল হওয়া ১৪টি ফ্লাইটের বিপরীতে সৌদি আরবের জেদ্দা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ১২টি অতিরিক্ত স্লট বরাদ্দ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন হজ ক্যাম্পের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম। তবে বিমানের জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ এই তথ্য নাকচ করে দিয়েছেন।
বিমান কর্মকর্তা এবং হজ ক্যাম্প পরিচালকের এমন পরস্পরবিরোধী বক্তব্যের কারণে হতাশ হয়ে পড়েছেন হজযাত্রীরা।
জাগো নিউজকে শাকিল মেরাজ জানান, হজযাত্রী পরিবহনে অতিরিক্ত স্লটের জন্য আবেদন জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। তবে এখনও অনুমতি দেয়নি জেদ্দা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, ভিসা সংক্রান্ত জটিলতায় বাতিল হওয়া ফ্লাইটের যাত্রীরা এখন হজ পালন নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন। আগামী ৪ দিনের মধ্যে অতিরিক্ত স্লট বরাদ্দ না পেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিমানের জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, আজকের (রোববারের) মধ্যে অতিরিক্ত স্লটের বরাদ্দ মিললে সোমবার থেকে বিমানের নিয়মিত ডেডিকেটেড ফ্লাইটের পাশাপাশি অতিরিক্ত ২টি ফ্লাইটে হজযাত্রী পরিবহন করা হবে। এতে করে এক সপ্তাহের মধ্যেই সংকট পুরোপুরি দূর হবে।
গত ২৪ জুলাই বিমানের হজ ফ্লাইট শুরুর পর থেকে ই-ভিসা জটিলতা আর যাত্রী সংকটের কারণে শনিবারের ২টি নিয়ে এখন পর্যন্ত বিমানের মোট ১৪টি হজ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। আর সৌদি এয়ারলাইন্সের বাতিল হয়েছে ৪টি ফ্লাইট। বাতিল হওয়া মোট ১৮টি ফ্লাইটে সাড়ে ৭ হাজার হজযাত্রীর সৌদি যাওয়ার কথা ছিল।
হজযাত্রীদের নিয়ে শেষ ফ্লাইট জেদ্দা যাবে ২৮ আগস্ট। ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ৬ সেপ্টেম্বর, শেষ হবে ৫ অক্টোবর। এ বছর চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১ সেপ্টেম্বর পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে।
এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ বাংলাদেশি পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন। এরইমধ্যে প্রায় ৪০ হাজার হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। এদের মধ্যে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৩৩৮ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩৫ হাজার ৯০৯ জন হজযাত্রী সৌদি পৌঁছান।
ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত হজ বুলেটিন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।