রাজধানীর রামপুরায় একটি বাড়িতে গৃহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় গৃহকর্তা মঈনুদ্দিন, গৃহকর্ত্রী এবং ওই বাসার দাঁড়োয়ান টিপুকে আসামি করে হত্যা মামলা হয়েছে। মারা যাওয়া গৃহকর্মী লাইলী বেগমের ভাসুর বাদী হয়ে রামপুরা থানায় এই মামলা করেছেন। অন্যদিকে ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ আরও একটি মামলা করেছে। এতে আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত তিন থেকে চারশ জনকে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে এই মামলা করা হয় বলে ঢাকাটাইমসকে জানিয়েছেন রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রলয় কুমার সাহা। তিনি বলেনম, আসামিদের মধ্যে গৃহকর্তা মঈনুদ্দিন এবং দাঁড়োয়ান টিপু আটক আছেন। তবে গৃহকর্তী আত্মগোপনে আছেন।
গৃহকর্মী লাইলীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শুক্রবার দুপুরের পর রাজধানীর বনশ্রী এলাকার চার নম্বর সড়কের ডি ব্লকে একটি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায় স্থানীয় লোকজন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ লোকজন গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পুলিশ জানায়, বনশ্রী এলাকার একটি বাসায় লাইলী বেগম নামের এক গৃহকর্মীর মৃত্যু হয়। লাইলীর পরিবারের দাবি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে গৃহকর্তা মইনুদ্দিনের দাবি লা্ইলী আত্মহত্যা করেছে। তিনি বলেন, ‘সকালে (শুক্রার) কাজ করতে এসে লাইলী ফ্ল্যাটে ঢুকেই একটি কক্ষের ভেতর ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। অনেক ডাকাডাকি করে লা্ইলী সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।’
পরে সেদিনই গৃহকর্তা ও বাড়ির দাঁড়োয়ানকে আটক করে পুলিশ। লাইলীর বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িয়া উপজেলার আজুয়াটালী গ্রামে। তিনি বনশ্রীর পাশে হিন্দুপাড়া বস্তিতে দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে থাকতেন। তার স্বামী নজরুল ইসলাম ভারতের কারাগারে বন্দী।