শেরপুরে প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের দায়ে তৈয়ব আলী (৩২) নামে এক রিকশাচালকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোসলেম উদ্দিন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত তৈয়ব আলী নালিতাবাড়ী উপজেলার বনকুড়া গ্রামের ইমান আলীর ছেলে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সাজাপ্রাপ্ত তৈয়ব আলীর উপস্থিতিতে ঘোষিত এ রায়ে একই সঙ্গে ধর্ষিতার পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার নথির বরাত দিয়ে তিনি জানান, বিগত ২০১২ সালের ১ জুন জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলার বনকূড়া গ্রামের দিনমজুর মামুদ আলীর ৯ বছর বয়সের বুদ্ধি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়েটি বাড়ির আঙ্গিনায় গরুকে পানি খাওয়াচ্ছিল। এ সময় একই গ্রামের রিকশাচালক তৈয়ব আলী প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে আম দেয়ার কথা বলে ফুঁসলিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি পরিত্যাক্ত ভিটে-বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে মেয়েটির মা বাড়িতে মেয়েকে না দেখে ডাক চিৎকার করে খোঁজা শুরু করলে ওই পরিত্যক্ত বাড়ির ভিটা থেকে তৈয়ব আলীকে দৌড়ে পালাতে দেখেন। পরে পরিত্যক্ত ওই ঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের প্রায় দেড় মাস পর ১৩ জুলাই আসামি তৈয়্যব আলীকে পুলিশ গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করে। এরপর ওই বছরের ১৭ জুলাই তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। আসামি রায়ের আগ পর্যন্ত জামিনে মুক্ত ছিলেন। রায়ের দিন হাজির হলে তাকে এ রায় পড়ে শোনানো হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডাক্তারসহ আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ দুপুরে আদালত এ রায় দেন।