নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালার বিষয়ে সুরাহার জন্য প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতির সঙ্গে আইনমন্ত্রীর বৈঠক আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও মন্ত্রী যাচ্ছেন না।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের পক্ষ থেকে মন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিজেই বিষয়টি জানান।
মন্ত্রী বলেন, আমি খুব অসুস্থ, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ৩১ জুলাই মন্ত্রী জানিয়েছিলেন বিচারপতিদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বৈঠক হবে।
৩০ জুলাই সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দুপুর ২টা থেকে আমি এবং আপিল বিভাগের বিচারপতিরা রাত ১২টা পর্যন্ত আপনাদের (সরকার) সময় দেব। বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালা নিয়ে আর রশি টানাটানি নয়। আইনমন্ত্রীসহ সরকারের যেকোনো এক্সপার্ট আসবেন, বৈঠকে বসব। আপনিও থাকবেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টে এক বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার কাছে বিধিমালার খসড়া হস্তান্তর করেন।
পরে আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, বিধিমালার খসড়া প্রধান বিচারপতির কাছে হস্তান্তর করেছি। এটি এখন তিনি দেখবেন। পরে তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর এটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।
গত ২৩ জুলাই রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন মঞ্জুর করে এ গেজেট প্রকাশে আরও এক সপ্তাহ সময় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এর আগে গত ১৬ জুলাই প্রধানবিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ সংক্রান্ত গেজেট শিগগিরই প্রস্তুত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন আইনমন্ত্রী।
১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেনের মামলায় (বিচার বিভাগপৃথককরণ) ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয়া হয়। ওই রায়ের ভিত্তিতে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল।