ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তিন সদস্যের ভিসি প্যানেলের কার্যক্রম স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে ভিসি প্যানেল নিয়ে জারি করা রুল আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্য বলেছেন আদালত।
ভিসি প্যানেল গঠনের জন্য গত ২৯ জুলাই সিনেটের বিশেষ অধিবেশন স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদন আজ আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানি শেষে তিন সদস্যের ভিসি প্যানেলের কার্যক্রম স্থগিত করলেন আদালত।
এই আদেশের ফলে সিনেট অধিবেশন থেকে দেয়া ভিসি প্যানেল মনোনয়ন আটকে গেল বলে জানিয়েছেন ঢাবির আইনজীবী এফএম মেজবাহ উদ্দিন।
গত ২৬ জুলাই হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষে করা এক আবেদন শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছিলেন। একই সঙ্গে আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্যানেল মনোনয়নের জন্য সিনেটের বিশেষ অধিবেশন আয়োজনের ওপর স্থগিতাদেশ দেন হাইকোর্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ ১৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটদের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এম ফারুকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
রুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ১৯৭৩ এর ২০ (১) ধারা অনুযায়ী সিনেট গঠন না করে ২৯ জুলাই ডাকা সভা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ১৯৭৩ এর ২০ (১) ধারা অনুযায়ী সিনেট গঠনে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ভিসি, দুই প্রো-ভিসি (একাডেমিক ও অ্যাডমিনিস্ট্রেশন), রেজিস্ট্রার এবং বাংলাদেশের পক্ষে শিক্ষা সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন বরিশালের আনোয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুস সামাদ, অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী, অধ্যাপক ড. হারুনুর রশিদ খান, অধ্যাপক ড. সিতেশ চন্দ্র বাচার, অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার, অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী, অধ্যাপক ড. কেএম সাইফুল আলম খান, সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুর রহিম, সহযোগী অধ্যাপক মো. হুয়ায়ন কবির, ঢাকার এ কে এম আতিকুর রহমান এবং ফরিদপুরের ড. আব্দুল জব্বার মিয়া।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম বলেন, আবেদনকারীদের দাবি রেজিস্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধির অনেক পদ খালি রয়েছে। তাই ওই পদ পূরণ না করে সিনেট সভা ডেকে উপাচার্য প্যানেল মনোনয়ন করা ঠিক নয়। এ কারণে গত ১৬ জুলাইয়ের চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৫ জন হাইকোর্ট রিট করেন।