বাংলাদেশ বিশ্বের ১৪০টি দেশে ওষুধ রফতানি করছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর অনেক ওষুধ আমদানি করতে হতো। এখন মাত্র ২ থেকে ৩ শতাংশ ওষুধ আমদানি করা হচ্ছে। বাংলাদেশের ৫৩টি কোম্পানী বিশ্বের ১৪০টি দেশে ওষুধ রফতানি করছে। বাংলাদেশের মানুষের জন্য মানসম্মত ওষুধ তৈরী করতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী গতকাল বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজার প্রথম আলো কার্যালয়ে আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় এ মন্তব্য করেন।
‘জনস্বাস্থ্যের কল্যাণে জাতীয় ওষুধ নীতি-২০১৬’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকটি যৌথভাবে আয়োজন করে জাতীয় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও দৈনিক প্রথম আলো।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, মানসম্মত ওষুধ নিশ্চিত করতে আমরা ৬৬টি কোম্পানীর কারখানা বন্ধ করে দিয়েছি। অনেকগুলোর লাইসেন্স বাতিল করেছি। হার্টের রিং বসানো নিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছিল। মধ্যস্বত্বভোগীরা কিছু ডাক্তারের সহযোগিতায় এ কাজগুলো করতো। আমরা সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
মডেল ফার্মেসি স্থাপন প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা বিভিন্ন জেলায় ১৮০টি মডেল ফার্মেসি স্থাপন করেছি। মোট ৪৮০ টি মডেল ফার্মেসি স্থাপন করা হবে। আমি নিজে বিভিন্ন জেলায় গিয়ে এ সব মডেল ফার্মেসি উদ্বোধন করেছি।
তিনি বলেন, বিজ্ঞাপন দিতে হবে না, শুধু সুনামটা অর্জন করতে হবে। এ সকল মডেল ফার্মেসিতে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ দেওয়া হবে না।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, কিছু দিন আগে শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে এসেছিলেন। তিনি আমাকে বলেছেন, ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের ঔষধ শিল্প এগিয়ে। বিশেষ করে শ্রীলংকার মানুষের কাছে।
তিনি বলেন, এক সময় আমাদের কিছুই ছিল না। আজকে আমরা শুরু করেছি। সকলের সহযোগিতায় ওষুধ শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
জাতীয় ওষুধ নীতিমালা সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিষয়টি রয়েছে। সেখান থেকে আসলে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর সংসদে পাস করে এই আইন আমরা বাস্তবায়ন করতে পারবো।
গোলটেবিল আলোচনায় জাতীয় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান, স্কয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সনাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।