অতিরিক্ত মোয়াল্লেম ফি, ভিসা প্রিন্টে জটিলতাসহ অন্য সমস্যার সমাধান দু’একদিনের মধ্যে না হলে তা হজ ফ্লাইটে জটিলতা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
বুধবার সচিবালয়ে হজযাত্রী পরিবহন নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে মন্ত্রী এ কথা জানান।
যাত্রী সংকটে এ পর্যন্ত বিমানের ১২টি ও সৌদি এয়ারলাইন্সের তিনটি হজ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এতে বিমানের ক্যাপাসিটি লস হয়েছে ৫ হাজার ৩৮০ জন, সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের লস হয়েছে এক হাজার ২০০ জন।’
তিনি বলেন, ‘বিমান পরিকল্পনার সময় এই লস হতে পারে ধারণা করে অতিরিক্ত ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে রেখেছে। কিন্তু আজ কালকের মধ্যে যদি সমস্যার সমাধান না হয়, তখন এটা একটা সমস্যা হিসেবে দাঁড়িয়ে যাবে।’
‘বাংলাদেশ হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে প্রশংসা অর্জন করেছে। আমরা চাই না কোনো ধরনের সমস্যা-সংকট সৃষ্টি হোক। কিন্তু এ বছর খুব দুর্ভাগ্যজনকভাবে কতগুলো ঘটনা ঘটে গেছে। যেগুলো আমাদের হিসেবের মধ্যে ছিল না। যেখানে আমরা প্রতি বছর দেখি প্রথম ১০ দিনে বড় সংখ্যক হাজী চলে যায়। এবার তা সম্ভব হয়নি।’
বিমানমন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে ভিসা হয়েছে ৪৬ হাজার ৭৯২ জন, সেখানে হাজী গেছেন ২৯ হাজার ৮৩৯ জন। ১৭ হাজার হাজী যাদের যাওয়ার কথা ছিল তারা যেতে পারেননি। এখন জেদ্দায় আমাদের অবশিষ্ট যে হাজী পরিবহন করতে হবে তার সংখ্যা প্রায় ৪৭ হাজার ৭৬১ জন। বিমান ও সৌদি এয়ারলাইন্স মিলে এই পরিবহন করতে হয়। আমার চাই নির্বিঘ্নে এ পরিবহন সম্পন্ন হোক।’
২৬ আগস্ট বিমান ও ২৮ আগস্ট সৌদি এয়ালাইন্স সৌদি আরব যাওয়ার শেষ ফ্লাইট পরিচালনা করবে বলেও জানান তিনি।
‘এবার সৌদি সরকার মোয়াল্লেম ফি বৃদ্ধি করেছে। এতে ৯১টি এজেন্সি নিয়ে সমস্যা হয়। ১৮-২০ হাজার হজযাত্রীর ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। যদিও সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। আজকের তথ্য হচ্ছে বারকোড তারা পাচ্ছে’ বলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মেনন।
তিনি আরও বলেন, ‘হজ প্যাকেজ ঘোষণার বহু পরে সৌদি কর্তৃপক্ষ যারা ২০১৫ ও ২০১৬ সালে হজ করেছে তাদের কাছ থেকে ২ হাজার রিয়েল (৪৪ হাজার টাকার কিছু বেশি) বেশি দাবি করেছে। এ ধরনের হজযাত্রীর সংখ্যা ৬ থেকে ৭ হাজারে দাঁড়াবে। শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বের জন্য তারা এ ব্যবস্থা করেছে।’
‘এ ব্যাপারে আমাদের হজ কাউন্সিলর ও দূতাবাসের পক্ষ থেকে সৌদি সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা আজকে সব দেশগুলোর সঙ্গে ২ হাজার রিয়েলের বিষয়ে বসবে। এ অর্থ যদি দিনেই হয় তবে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছি তারা যেন এটার বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে দেয়।’
ই-ভিসার প্রিন্টের ক্ষেত্রে অসুবিধা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কোন গ্রুপে ১০০ জন থাকলে সেখানে ১৬ জনের ভিসা না হলে পুরো গ্রুপ ক্যান্সেল (ফ্লাইট) হয়ে যায়। এই সমস্যা দাঁড়িয়ে গেছে।’