উত্তর কোরিয়ার শাসন ব্যবস্থায় কোনো পরিবর্তন আনতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র বরং তারা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। খবর বিবিসির।
উত্তর কোরিয়া একের পর এক পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়ে যে হুমকি তৈরি করছে তাকে অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করলেও যুক্তরাষ্ট্র অনেকটা সুর পাল্টে ফেলেছে। যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতার পতন চায় না বলেও জানানো হয়েছে ।
উত্তর কোরিয়ার প্রতি আলোচনার আহ্বান জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। তিনি আরও বলেন, আমরা শত্রু নই।
সম্প্রতি, একজন সিনিয়র রিপাবলিকান সিনেটর ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর মন্তব্য করেছেন। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় ফুরিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
অন্যদিকে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশটির সর্বোচ্চ নেতাকে সরিয়ে দেয়ার চক্রান্ত করা হলে পারমাণবিক হামলা চালিয়ে তার জবাব দেয়া হবে।
পিয়ংইয়ং সর্বশেষ আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা সফল হয়েছে দাবি করে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পুরো ভূখণ্ডই উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র আওতার মধ্যে রয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচিকে ঘিরে চলমান উত্তেজনার মধ্যে টিলারসন বলছেন, আমরা শাসন ব্যবস্থায় কোনো পরিবর্তন আনার চিন্তা করছি না। আমরা সরকারের পতনও চাই না, কোরীয় উপদ্বীপের পুনরায় একত্রীকরণের বিষয়েও কিছু বলছি না।
তিনি আরও বলেন, আমরা উত্তর কোরিয়ার শত্রু নই। আমরা তাদের জন্য কোনো হুমকিও নই।
এদিকে উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র মহড়া চালিয়েছে।
পেন্টাগন সামরিক সক্ষমতাও বাড়িয়েছে কিন্তু একইসঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, সংঘর্ষ হলে ব্যাপক বিপর্যয় হবে।