হরতাল থেকে জাতিকে মুক্তি দিতে সরকার ও বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি একে আজাদ।
একই সঙ্গে বিএনপি যে কারণে টানা তিনদিনের হরতাল দিয়েছে, সাবেক সংসদ ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি সরকারের কাছ থেকে শিগগিরই এ ব্যাপারে স্পষ্ট বক্তব্য চেয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার ফেডারেশন ভবনে চলমান হরতালের পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। এতে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা উপিস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘চলমান হরতালের বিষয়ে সরকার ও বিরোধীদলের সঙ্গে আলোচনা করেও কোনো সুরাহা পাইনি। এতে করে ব্যবসায়ী সমাজ উদ্বিগ্ন। আমাদের বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়ে গেছে। এই মুহূর্তে আমরা ভবিষ্যতের বিনিয়োগের কথা ভাবছি না। হরতালের কারণে বিদেশে আমাদের ইমেজ ক্ষুণ্ন হচ্ছে। অর্থনীতি এবং সার্বিক উন্নতির জন্য হরতালের মতো নেতিবাচক রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘তিনদিন ধরে বিএনপি হরতাল করছে। ফলে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা আমাদের বিনিয়োগ নিয়ে চিন্তিত এবং উদ্বিগ্ন। আমদানি রফতানি বাণিজ্য ব্যাহত হচ্ছে। ঢাকার বাইরে থেকে খাদ্যদ্রব্য আসতে পারছে না। তাই দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাচ্ছে। অনেক বিদেশি ব্যবসায়ী বাংলাদেশে আসতে পারছে না। তারা বিভিন্ন পয়েন্টে আটকা পড়ে আছে। অনেকে বাংলাদেশে আসলেও হোটেল থেকে বের হতে পারছে না। আমরা ব্যবসায়ী সমাজের প্রতিনিধিরা এর থেকে পরিত্রাণ চাই।’
একে আজাদ বলেন, ‘হরতাল পঞ্চাশ ষাটের দশকের রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিলো। বিশ্ব এগিয়ে গেছে, এখন আর হরতালের মতো নেতিবাচক রাজনীতি গ্রহণযোগ্য নয়।’
অনুষ্ঠানে বিজিএমইএর সভাপতি মো: সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, ‘পৃথিবীব্যাপী অর্থনৈতিক সুনামি বিরাজ করছে। ইউরো জোনের ২৭টি দেশের মধ্যে ১৫টি দেশের জিডিপি হ্রাস পেয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, জাপানের মতো ওই অঞ্চলেও আগামী ৫ থেকে ৭ বছর এ ধারা অব্যাহত থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশীয় নানা সংকট ও আন্তর্জাতিক বাজার সমস্যার পরেও দেশের পোশাক রফতানি বেড়েছে। তবে তা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম।’
এমন অবস্থায় হরতালের মতো কর্মসূচি দিয়ে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত না করার আহ্বান জানান তিনি।