বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এখন পর্যন্ত হয়েছে চারবার। নভেম্বরে মাঠে গড়াচ্ছে বিপিএলের পঞ্চম আসর। আর আগের চার আসরেই ভিন্ন ভিন্ন দলের হয়ে খেলেছেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। তবে চার বারে ৪ দলে খেলেও শিরোপায় চুমু খাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি মুশফিকের। দল বদলেছেন এবারও। প্রথম আসরে স্থানীয় দল দুরন্ত রাজশাহীতে খেলেছিলেন। আগেই মালিকানা বদলে যাওয়া রাজশাহী এখন রাজশাহী কিংস। সেই ঘরের দলে ফিরে এসেছেন মুশফিক। নিজের বিভাগের দলে ফিরেই তিনি জানালেন তার স্বস্তির কথা। চ্যাম্পিয়ন হয়েই বিপিএলে নিজের অপূর্ণতা দূর করতে চান মিস্টার ডিপেন্ডেবল।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহী কিংসে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেওয়ার পর মুশফিক বললেন, ‘আমি রাজশাহী বিভাগের ছেলে। আমার বাড়ি বগুড়ায়। আর সবাই চায় যার যার অঞ্চলের হয়ে খেলতে। আমাকে তারা দলে নেওয়ায় আমি সম্মানিত বোধ করছি এবং এটা অনেক বড় একটা দায়িত্বও বটে। চেষ্টা করবো, যে আশায় তারা আমাকে নিয়েছে তা পূরণ করতে। গত বছর রাজশাহী অল্পের জন্য চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি (রানার্স আপ), এবার চেষ্টা থাকবে সেই অপূর্ণতা দূর করতে।’
‘আমার হাতে কোনো ম্যাজিক নেই’
প্রথম আসরে দুরন্ত রাজশাহীর হয়ে খেলা মুশফিককে দ্বিতীয় আসরে কিনে নেয় সিলেট রয়্যালস। তৃতীয় আসরে খেলেন বদলে যাওয়া সিলেট সুপারস্টার্সের হয়ে। চতুর্থ আসর মানে গতবার তার দল ছিল বরিশাল বুলস। এবার খেলবেন রাজশাহী কিংসের হয়ে। প্রতিটি আসরেই নজরকাড়া পারফর্ম করেছেন মুশফিক। এখন পর্যন্ত বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী তিনি। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স যতই ভালো হোক দলগতভাবে এখনও দারুণ কিছু করতে পারেননি। তবে এবার আশায় ভিন্ন কিছুর।
‘টি-টুয়েন্টি আসলে এমন একটি খেলা যেখানে একা খেললে হবে না। যে চারটা এডিশনে আমি খেলেছি তাতে আমার হাতে কোনো ম্যাজিক ছিলো না যে আমি ভালো করলে দল ভালো করবে। এখানে দল হিসেবেই পারফর্ম করতে হয়। আমি ভুল না করে থাকলে এটা বলতে পারি বিপিএলের সর্বোচ্চ রান কিন্তু আমার। অন্যদিক থেকে সহায়তা না পেলে আসলে কঠিন হয়ে যায়।’
নতুন নিয়মে এবারের বিপিএলে ৫জন বিদেশি খেলোয়াড় খেলতে পারবেন একাদশে। অনেকের চোখে দেশি ক্রিকেটারের গুরুত্ব কমলো তাতে। কিন্তু মুশফিক এটাকে ইতিবাচক হিসেবেই নিয়েছেন। উদাহরণ হিসেবে জানান প্রথম দুই আসরের কথা। প্রথম দুই আসরে পাঁচ জন করে বিদেশি খেলেছিলেন। আর তার সুফল বাংলাদেশ জাতীয় দল বা দলের খেলোয়াড়রা পেয়েছিল ২০১২ সালের এশিয়া কাপে। সেবার এশিয়ার সেরা এই আসরের ফাইনাল খেলেছিল টাইগাররা।