আজ সোমবার বঙ্গবন্ধু-আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির পরিচিতি ও কর্মী সমাবেশে অংশ নিয়ে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা’র সমালোচনা করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেছেন, আমরা যেখানে সবকিছু আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান চাই। জনগনের উন্নয়ন করতে চাই, সেখানে তিনি এজলাসে উঠে বিভ্রান্তি মূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। আমার দুর্ভাগ্য, সকল অনুষ্ঠানেই আমরা পরে তিনি বক্তব্য দেন। তার অভিযোগ গুলো খণ্ডানোর সুযোগ আর আমার আসেনা।
সেদিন তিনি বললেন, তার চেয়ারে নাকি পানি পড়ে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এটা জানার পর আমাকে ডেকে পাঠালেন। বললেন, আমার বিল্ডিংয়েও তো পানি পড়ে। তুমি একটু দেখো তো ওনার কোথায় সমস্যা। আমি তো সংস্কার করে দিয়েছি। প্রয়োজনে ওখানেও সংস্কার করতে হবে। পরে এখনকার আদলে না হয় নতুন বিল্ডিং করে দেওয়া যাবে।
আমাদের প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সরকার চায় সকল সমস্যা আলোচনার মধ্যদিয়ে সমাধান করতে।
আইনমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির যে ক্ষমতা, সেটা তারা নিয়ে নিতে চায়! আমি কিভাবে সেটা দেই? আপনারাই রায় দেন আপনারা বলেন, আমিতো সেটা দিতে পারি না। আমি বললাম, আমি তো সেটা দিতে পারি না, আসুন আমরা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সেটা ঠিক করে নিই। আমরা আপনাদের কাছে এটা রাফ পাঠিয়েছি। আপনারা সেটা সংশোধন করে পাঠিয়েছে। তারওপর আমরা শুধু মাত্র একটা জায়গায়ই হাত লাগিয়েছি, যেখানে ১১৬ অনুচ্ছেদ দ্বারা রাষ্ট্রপতির যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সেটাতে। আমি বলেছি, না এটা দেওয়া যাবে না। আমি নিজে এসে ওনাকে দিয়েছি। কোনো পিওন কিংবা আমার কারো হাত দিয়ে দিই নাই। আমি বলেছি, আপনি দেখেন পড়েন, তারপরও যদি আপনার কোনো বক্তব্য থাকে, আমি আলোচনা করবো।’
আর তিনি কি করলেন? এজলাসে উঠে বলেন হাইকোর্টটা উঠিয়ে দেন। আরে, হাই কোর্ট তো করে দিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা কিভাবে হাই-কোর্ট উঠিয়ে দেবো!
প্রধান বিচার উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, ‘আপনার যথেষ্ট সম্মান রয়েছে। আমি তো হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট উঠানোর কথা বলি নাই। ডিসিপ্লিনারি রুলস দিয়ে হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট ওঠে না। আপনার এজলাসে বসে এগুলো বলার দরকার পড়েনা। আপনার সঙ্গে এগুলার আলোচনা তো আমি করবোই। আমি যশোরে ছিলাম, ওনার কথা শুনেই ফোন করে বলেছি, আমি আসছি বৃহস্পতিবার আপনার সঙ্গে বসবো। আমাদের ইচ্ছা আছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের কাজে নিয়োজিত। দেশের মানুষের যতটুকুতে উপকার হয় ততোটুকু করবোই। এর মধ্যে আমরা কোনো আপস করবো না। কিন্তু সেই উপকার দেশের মানুষের হতে হবে, অন্য কারও না।’