সিপিএল খেলতে সাকিবের দেশ ছাড়ার কথা ছিল গতকালই (শনিবার)। কিন্তু সময়মত ভিসা না পাওয়ায় যাওয়া হয়নি তার। যদিও সাকিব এটাকে ভিসা না হওয়া বলতে নারাজ। তার ভাষায় পাসপোর্ট হাতে পায়নি। তাই যেতে পারিনি।
এদিকে সিপিএলে যেতে না পারলেও অনুশীলন ঠিক চালিয়ে যাচ্ছেন সাকিব। আজও (রোববার) অনুশীলনে এসেছিলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। দুপুর দুইটায় অনুশীলন শুরুর ঠিক আগে শেরে বাংলার লাউঞ্জে বসে মিডিয়ার সঙ্গে অনেক কথাই বললেন সাকিব। আইপিল, সিপিএল, পিএসএল তিন ফ্র্যাঞ্জাইজি প্রসঙ্গের সঙ্গে উঠে আসলো আগামী দিনের লক্ষ্য ও পরিকল্পনা কি? অনেক কথার ভিড়ে সাকিব জানিয়ে দিলেন, ‘শুধু আইপিলে নয়, সিপিএলেও অন্য রকম মুগ্ধতা আছে তার। তার ভাষায় আইপিএলে খেলার অন্য রকম একটা চার্ম আছে। তবে ওই আসরে চ্যালেঞ্জাটাও বেশি। প্রথমত দশজন বিদেশি দলে থাকে। সেই দশজন থেকে চারজনকে দলে সুযোগ করে দেওয়া সহজ নয়। তাই প্রথম লক্ষ্য থাকে একাদশে জায়গা করে নেয়া। আর এগারোজনে মধ্যে থাকতে পারলে লক্ষ্য চলে আসে ভালো খেলার। কারণ ভালো খেলতে না পারলেই জায়গা হারাতে হবে। তবে আইপিলে ভালো খেললেও জায়গা নিশ্চিত নয়। টিম কম্বিনেশন এবং স্থানীয় ক্রিকেটারদের কেউ একই ক্যাটাগরির হলে বিষয়টি আরও জটিল হয়। সেই একই ক্যাটাগরির খেলোয়াড় বেশি ভালো খেললে, ভালো খেলেও জায়গা হারাতে হয়।’
কিন্তু সিপিএল, এসপিএলে ওই সব নেই উল্লেখ করে সাকিব আরও বলেন, ‘এই সব লিগে দলে অবস্থান শতভাগ নিশ্চিত, আপনি জানেন আপনি খেলবেন। তাই আইপিএলের তুলনায় চাপ অনেক কম। তবে টুর্নামেন্টের মান এবং মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আমি কোন ভারাক খুঁজে পাই না। কারণ আইপিলের মত ওই দুই আসরেও অনেক বড় তারকা অংশ নেন। সবচেয়ে বড় কথা সিপিএলে মাঠের বাইরের উত্তেজনা ও চাপ খুবই কম। খেলা শেষ হয়ে যাওয়ার পর হার বা জিত নিয়ে ফ্র্যাঞ্জাইজি বা টিম ম্যানেজমেন্ট ওত মরিয়া নন। তাই চাপ অনেক কম থাকে। আরেকটা বিশেষ কারণে সিপিএল উপভোগ করি, তা হল ক্যারিবিয় দ্বিপপুঞ্জের নৈসর্গিক সৌন্দর্য, যা পৃথিবীর আর কথাও নেই। সব মিলিয়ে আমি সিপিলে খেলে অন্য রকম আনন্দ পাই।’