মেয়র হানিফের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার

মেয়র হানিফের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার

রাজধানী ঢাকার নন্দিত নায়ক, জাতির জনকের ঘনিষ্ঠ ও স্নেহভাজন, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত সফল মেয়র ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার।

২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর দিবাগত রাতে ৬২ বছর বয়সে রাজধানী ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় সংসদের স্পিকার মো. আব্দুল হামিদ অ্যাডভোকেট মেয়র হানিফের মৃত্যুবার্ষিকীতে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।

নন্দিত এই নেতার মৃত্যুবার্ষিকীতে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, কবর জিয়ারত, আলোচনা সভা প্রভৃতি।

মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আগামী ৫ ডিসেম্বর সোমবার বিকাল ৩টায় মহানগর নাট্যমঞ্চের মিলনায়তনে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

মেয়র হানিফ ১৯৪৪ সালের ১ এপ্রিল ঢাকার সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা আব্দুল আজিজ এবং মাতা মুন্নি বেগমের সর্বকনিষ্ঠ ছেলে তিনি। তিনি আজীবন আওয়ামী লীগের রাজনিতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে গেছেন।

১৯৬৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সচিব হিসেবে তিনি জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭০’র জাতীয় নির্বাচন, ৭১’ সালের স্বাধীনতা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

১৯৭৩ সালে তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৬ সালে তিনি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।

১৯৯৪ সালে তিনি বিশাল ভোটের ব্যবধানে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় তিনি নিজের জীবন তুচ্ছ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে গিয়ে মাথায় স্প্লিন্টারবিদ্ধ হন। পরবর্তী সময়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে এবং অকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

রাজনীতি