বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে আওয়ামী লীগের ওপর আস্থা রাখতে তরুণদের প্রতি সজীব ওয়াজেদের আহবান

বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে আওয়ামী লীগের ওপর আস্থা রাখতে তরুণদের প্রতি সজীব ওয়াজেদের আহবান

 প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ দেশের অব্যাহত অগ্রগতি বজায় রাখার বর্তমান সরকারের দৃঢ় সংকল্পের উল্লেখ করে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করতে আওয়ামী লীগের প্রতি আস্থা ও এ দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রাখতে তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণ সমাজ চাইলে অনেক কিছু করতে পারে। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে পদ্মা সেতুর অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু আমার সেটা করেছি। আমরাই পারি আমরাই পারবো।’
বুধবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজিত ১৮তম লেটস টক উইথ সজীব ওয়াজেদঅনুষ্ঠনে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও একদল পেশাজীবীসহ প্রায় ৩৫০ তরুণ অংশ নেয়।
তরুণদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনায় তিনি বিগত আট বছরে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকারের অবদানের কথা বর্ণনা করেন। এ সময় দেশের আইসিটি খাতের উন্নয়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের স্বপ্নকেও ছাড়িয়ে গেছে দেশের আইসিটি খাত। ২০১০ সালে শূন্য থেকে শুরু হয়েছিলো। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীদের সদিচ্ছায় আইসিটি খাতে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে।
সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম আইসিটি খাতে উন্নয়নের। বর্তমানে আউটসোর্সিংয়ে আমরা বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ।’
তিনি বলেন, ১ এমবিপিএস কিনতে এক সময় ৯০ হাজার টাকা লাগতো। আমাদের ইচ্ছা ছিলো তা ৯০০ টাকায় নামিয়ে আনার। বর্তমানে ৬০০ টাকায় ১ এমবিপিএস লাইন পাচ্ছেন আপনারা।
ভূমি অধিদফতর আইসিটি সহায়তা চালু করলে সারাদেশে জমে থাকা মামলার এক তৃতীয়াংশ সুরাহ হয়ে যাবে জানিয়ে সজীব ওয়াজেদ বলেন, পাইল্ট প্রকল্প হিসেবে দেশের কিছু এলাকায় অনলাইনে জমির মিউটেশনসহ বেশকিছু কাজ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা নিয়ে দেশের ৩০ ভাগ অঞ্চলে ভূমি জরিপের তথ্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে জমি সংক্রান্ত সব কাজ অনলাইনে করা যাবে। আগামীতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে সেই ব্যবস্থা করা হবে।
এ সময় ’৭৫-পরবর্তী সরকারগুলোর প্রসঙ্গ তুলে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘বিগত ৮ বছর আমরা যা উন্নয়ন করেছি তারা কি সেটা করতে পারতেন না। বিএনপি আমাদের থেকে বেশি সময় ক্ষমতায় ছিল, তারা কি উন্নয়ন করতে পারতো না? আমি বলতে পারি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে এর থেকে বেশি উন্নতি হতো বাংলাদেশের।’
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পক্ষের দল ক্ষমতায় থাকলে যে কোন দেশের উন্নয়ন হয়। মালয়েশিয়ায় যেমন মাহাথির মুহাম্মদের দলকে সেই দেশের মানুষ ২০ বছর ক্ষমতায় রেখে একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছে। বিএনপি উন্নয়ন করেনি। কারণ তারা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি। তারা দেশের উন্নয়ন চায় না, নিজেদের উন্নয়ন চায়। আর সে কারণেই বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগকে আবারো ক্ষমতায় আনতে হবে।
সজীব ওয়াজেদ জয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে বলেন, আমরা ৮ বছরে যা উন্নয়ন করেছি স্বাধীনতার পর সে আট বছর ক্ষমতায় থাকলে দেশের আরো অনেক উন্নতি হতো।
তরুণদের প্রশ্নোত্তর-পর্বে জঙ্গিবাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীকেও ধন্যবাদ। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জঙ্গি আক্রমণ হচ্ছে। আমাদের দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন স্থানে যতবার জঙ্গি ধরেছে, ততবার জঙ্গি আক্রমণ প্রতিহত করা হয়েছে বলে আমি মনে করি।
দেশের দুর্নীতি প্রসঙ্গে এক পশ্নের উত্তরে সজীব ওয়াজেদ বলেন, দুর্নীতি একেবারে নিমূর্ল সম্ভব হয়নি। এর জন্য শুধু সরকার দায়ী নয়। আমাদের মানসিকতাও দায়ী। কিছু টাকা হলেই আমরা আর লাইনে দাঁড়াতে চাই না। টাকা দিয়ে কষ্ট লাঘব করেত চাই। তাহলে দুর্নীতি কিভাবে কমবে?
এ সময় তিনি বলেন, নতুন করে ৫ কোটি মানুষ আয়ের হিসেবে মধ্যবিত্ত হয়েছেন। অথচ দেশে আয়কর দেন মাত্র ২ ভাগ মানুষ। এটাকি দুর্নীতি নয়। এই দুর্নীতি দূর হলে আমার আরো ১০টা পদ্মা সেতু নিজেদের অর্থায়নে করতে পারতাম। তিনি বলেন, আমরা ভালো না হলে দুর্নীতি বন্ধ হবে না।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর