মিয়ানমারের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন( ইইউ) । সোমবার লুক্সেমবার্গে অনুষ্ঠিত ইইউ মন্ত্রীদের সম্মেলন থেকে অবরোধ প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। মিয়ানমারের বর্তমান সরকারের গৃহীত সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থনের নিদর্শন হিসেবে এই অবরোধ প্রত্যাহার করা হলো বলে জানিয়েছে ইইউ।
তবে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক অবরোধ তুলে নেওয়া হলেও মিয়ানমারের ওপর আরোপিত সামরিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হচ্ছে না বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা কার্যকর হবে আগামী সপ্তাহ থেকে।
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেও ইইউ মিয়ানমারকে সর্তক করে দিয়ে বলেছে সার্বিক পরিস্থিতি তাদের নজরদারিতে থাকবে। সামগ্রিক সংস্কার কার্যক্রমের উন্নতি বা অবনতির পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ভর করবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
গণতন্ত্রপন্থি কর্মীদের ওপর নির্যাতন এবং জনগণের বিরুদ্ধে চালানো নিপীড়নমূলক শাসনের প্রতিবাদে সামরিক জান্তা শাসিত মিয়ানমারের ওপর অবরোধ আরোপ করেছিলো ইইউ। পাশাপাশি দেশটিতে সকল সাহায্য এতদিন স্থগিত করে রেখেছিলো তারা।
২০১০ সালে সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে সামরিক জান্তার পরিবর্তে একটি বেসামরিক সরকার মিয়ানমারের শাসন ক্ষমতায় আসলে মিয়ানমারের পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়। জান্তা সমর্থিত হলেও বেশ কিছু সংস্কার পদক্ষেপ গ্রহণ করে বর্তমান সরকার, যা ছিলো মিয়ানমারের গত ৫ দশকের সামরিক শাসনের ইতিহাসে নজিরবিহীন। এ সবের মধ্যে রয়েছে গণতন্ত্রপন্থি কর্মীদের মুক্তিদান, সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইরত জাতিগত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ ইত্যাদি।
পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী সু চির নেতৃত্বাধীন দল গত ১ এপ্রিলে অনুষ্ঠিত পার্লামেন্টের উপনির্বাচনে অংশ নেন। উপনির্বাচনে ৪৩ টি আসনে জয়লাভ করে সু চির নেতৃত্বাধীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি।