বিদ্যুৎ বিভাগের সব সঞ্চালন লাইন আধুনিকায়ন করা হবে। একই সঙ্গে বিদ্যুতের গ্রিড লাইন বা টাওয়ার স্থাপনে সংশ্লিষ্ট জমির মালিককে ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনের প্রথম দিনের দ্বিতীয় অধিবেশনে এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সম্মেলন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অধিবেশনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, শহর ও শহরতলীর বিতরণ লাইন ও সাবস্টেশন ভূগর্ভস্থ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী ১৫ বছর গ্রিডের জন্য কী পরিমাণ জমি প্রয়োজন হবে তা এখনই নির্ধারণ করে অধিগ্রহণ করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। জমি অধিগ্রহণ বা ক্রয় প্রক্রিয়া দ্রুততর করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, জনগণকে গ্যাসের বিকল্প জ্বালানি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এলপিজি ও লাইনের প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্য প্রায় সমান। এলপিজির মূল্য আরও কমবে। তাছাড়া দেশের ২৪ লাখ গ্রাহক প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করলেও অন্য নাগরিক বিকল্প জ্বালানিই ব্যবহার করে।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎজনিত দুর্ঘটনা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে জেলা প্রশাসকরা কার্যকরী অবদান রাখতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী জেলা প্রশাসকদের মেধা, প্রজ্ঞা ও আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, চাহিদা অনুসারে গ্যাস দেয়া আপাতত সম্ভব হচ্ছে না। এলএনজি এলেই এ অবস্থার উন্নতি হবে।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং জ্বালানি ও খনজি সম্পদ বিভাগের সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।