‘দেখেন জিনিসটা হচ্ছে আমি দেশের আইনমন্ত্রী, আমি যদি তদন্তের বিষয়ে মন্তব্য করি তা হলে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। তাই তদন্ত করার পরে বিষয়টি জানতে পারবেন’।
ইউএনও তারিক সালমন গ্রেফতার ও জামিন নিয়ে বিচারকের ব্যাখ্যার বিষয়ে সাংবাদিকরা আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ মন্তব্য করেন। মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বরিশালের সিএমএম কোর্টের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইনকে বদলির প্রস্তাব তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক পদক্ষেপ’।
ইউএনও গাজী তারিক সালমনের মানহানির মামলার বিচারক বরিশালের মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসেনকে জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে বদলির প্রস্তাব করেছে আইন মন্ত্রণালয়।
পাশাপাশি বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষক (অতিরিক্ত জেলা জজ) শেখ আশফাকুর রহমানকে বরিশালের সিএমএম আদালতে বদলির প্রস্তাব করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ জুন বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির অভিযোগে ইউএনও গাজী তারিক সালমনের বিরুদ্ধে বরিশাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন অ্যাডভোকেট সাজু। গত ১৯ জুলাই ওই মামলায় হাজিরা দিতে আসলে চিফ মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক মো. আলী হোসাইন প্রথমে তার জামিন নামঞ্জুর করেন।
এরপর তাকে হাতকড়াসহ পুলিশ সদস্যরা হাজতখানায় নিয়ে যায়। ২ ঘণ্টা পর ফের তার জামিন মঞ্জুর করলে আদালতের হাজতখানা থেকে মুক্তি পান ইউএনও তারিক সালমন। এ ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে দেশজুড়ে সমালোচনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তীব্র সমালোচনার মুখে এবং দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর বাদী অ্যাডভোকেট সাজুর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ইউএনও’র বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করেন।