এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকার পরও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জুট স্পিনার্সের শেয়ার দর অস্বাভাবিকভাবে বেড়েই চলছে। এর পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই- দুই দফা এমন ঘোষণা দেয়ার পরও অব্যাহত রয়েছে শেয়ারের দরবৃদ্ধি।
এ পরিস্থিতিতে সোমবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে জুট স্পিনার্স জানিয়েছে, গত বছরের ১ জুলাই বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত তাদের কোনো কার্যক্রম চালু করা হয়নি। অথচ দিনের পর দিন অস্বাভাবিকভাবে বেড়েই চলছে শেয়ারের দর।
এর আগে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে ডিএসই গত ১৯ এবং ২৩ জুলাই বিনিয়োগকারীদের দুই দফা সতর্ক করে।
ডিএসই জানিয়েছে, শেয়ারের অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়ে গত ১৮ জুলাই জুট স্পিনার্সকে নোটিশ পাঠানো হয়। এর জবাবে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে- এ ব্যপারে তাদের কাছে অপ্রকাশিত কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ জুনের পর থেকেই জুট স্পিনার্সের শেয়ার দর টানা বেড়েছে। ১৯ জুন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ৫৬ টাকা ৫০ পয়সা। যা ২৮ জুন ৬০ টাকা ৬০ পয়সায় পৌঁছায়। ৫ জুলাই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর বেড়ে দাঁড়ায় ৬৪ টাকা ৩০ পয়সায়।
এরপরও প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত আছে; যা গত ১৬ জুলাই থেকে বাড়ছে অস্বাভাবিকভাবে। ওই দিন প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দর বেড়ে দাঁড়ায় ৬৫ টাকা।
পর দিন ১৭ জুলাই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর এক লাফে ৭১ টাকা ১০ পয়সায় চলে যায়। ১৮ জুলাই তা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭৮ টাকা ২০ পয়সা এবং ১৯ জুলাই ৮৪ টাকা ৯০ পয়সা।
জুট স্পিনার্সের শেয়ার দর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদশীল তথ্য নেই- ডিএসই থেকে গত ১৯ জুলাই এমন তথ্য প্রকাশ করা হয়। তার পরও প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর বেড়েই চলেছে। আজ (সোমবার) দাম বেড়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি শেয়ার ৯৮ টাকায় পৌঁছেছে।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ‘জেড’ গ্রুপভুক্ত জুট স্পিনার্সের মোট শেয়ারের ৩৯ দশমিক ৮২ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের ২৩ দশমিক ২০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং ৩৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।