বরিশালের আগৈলঝাড়ার সাবেক (বর্তমানে বরগুনা সদর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তারিক সালমনকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ এনে বরিশাল ও বরগুনার জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহার করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
সোমবার ওই দুই ডিসিকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রত্যাহারের কার্যক্রম গতকাল থেকেই চলছিল। আজ প্রধানমন্ত্রী ওই প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বেগম ইসমাত আরা সাদেক সাংবাদিকদের বলেন, ডিসিদের প্রত্যাহারের বিষয়টি এখনই বলতে পারব না। তবে আজকের মধ্যে এ ধরনের কিছু একটা বাস্তবায়ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী ভালো চোখে নেননি। ইউএনও’র কার্যক্রম ভালো ছিল। এখানে যদি কোনো ষড়যন্ত্র থাকে, কমিটি গঠন করা হয়েছে, কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রশাসনিকভাবে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তারিক সালমনের বিরুদ্ধে মামলা ও তাকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটিও গঠন করা হয়েছে আজ।
গাজী তারিক সালমন আগৈলঝাড়ার ইউএনও থাকাকালে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ছাপানো আমন্ত্রণপত্রে পঞ্চম শ্রেণিপড়ুয়া এক শিশুর আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহার করেন।
মন্ত্রণপত্রটিতে ব্যবহৃত ছবিটি বঙ্গবন্ধুর ‘বিকৃত ছবি’- এমন অভিযোগ এনে ৭ জুন বরিশাল মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে ওই ইউএনওর বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদুল্লাহ। মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে তারিক সালমনকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে সমন জারি করেন।
গত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে তারিক সালমনকে বরগুনা সদর উপজেলায় বদলি করা হয়। গত বুধবার ওই মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিনের আবেদন করেন তিনি।
আদালত প্রথমে তা নামঞ্জুর করে ইউএনওকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর দুই ঘণ্টা পর তার জামিন মঞ্জুর করা হয়। জানাজানি হলে বিষয়টি নিয়ে সারাদেশে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়।
এ ঘটনায় ৬ পুলিশ সদস্যকে ইতোমধ্যে প্রত্যাহারও করা হয়েছে।