বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজী তারিক সালমনের বিরুদ্ধে মামলা ও কারাগারে পাঠানোর ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিকে আগামী ২৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। গত ২ জুলাই এ কমিটি করা হয়।
সালমনের বিরুদ্ধে আইনের কোনো ব্যতয় ঘটেছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়।
সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদসচিব মো. শফিউল আলম সাংবাদিকদের এসব তথ্য বিষয়টি জানান।
গাজী তারিক সালমন বরিশালের আগৈলঝাড়ার ইউএনও থাকাকালে গত বছর স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ছাপানো আমন্ত্রণপত্রে পঞ্চম শ্রেণিপড়ুয়া এক শিশুর আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহার করেন।
এ ঘটনায় বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদুল্লাহ চলতি বছরের ৭ জুন বরিশাল মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে ওই ইউএনওর বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে তারিক সালমনকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে সমন জারি করেন।
গত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে তারিক সালমনকে বরগুনা সদর উপজেলায় বদলি করা হয়। গত বুধবার ওই মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিনের আবেদন করেন তিনি।
আদালত প্রথমে তা নামঞ্জুর করে ইউএনওকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর দুই ঘণ্টা পর তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়। জানাজানি হলে বিষয়টি নিয়ে সারাদেশে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়।
এরইমধ্যে এ ঘটনায় ওই বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। এছাড়া ৬ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।