দেশের বিদ্যুৎ বিভাগ গ্রাহকদেরকে দ্রুত, ঝামেলা মুক্ত ও ডিজিটাল সেবা প্রদানে চারটি উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে কাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী, চৌধুরী বীর বিক্রম বলেন, এই উদ্ভাবনী ধারণা বিদ্যুৎ খাতে সমস্যার সমাধান করবে এবং বিদ্যুৎ গ্রাহকদেরকে দ্রুত, ঝামেলা মুক্ত ও ডিজিটাল সেবা প্রদান করবে।
তিনি ন্যাশনাল পাবলিক সাভির্স ডে-২০১৭ উপলক্ষে রোববার এখানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডসহ (বিপিডিপি) চারটি কোম্পানি সকল গ্রাহকের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে উদ্ভাবনী প্রকল্প চালু করেছে।
ঘূর্ণিঝড়ে ন্যাশনাল পাওয়ার গ্রীড ভেঙ্গে যাওয়ায় দেশে সাম্প্রতিক বিদ্যুৎ ঘাটতির উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার বিদ্যুৎ খাতের সংকট নিরসনে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সর্বদাই প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, জাতির উজ্জল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে গ্রাহকদেরকে সেবা প্রদানে বিদ্যুৎ খাতের কর্মকর্তাদেরকে উদ্ভাবনী ধারণা রাখতে হবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. এম মোজাম্মেল হক খান বিশিষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
ড. খান বলেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সার্বিক অগ্রগতির অন্যতম চাবি হওয়ায় বিদ্যুতের বিলিং সিস্টেমকে আরো স্বচ্ছ করার মাধ্যমে অবশ্যই এ সেক্টরের গ্রাহক অধিকার সংরক্ষণ করা হবে।
ড. কায়কাউস বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার কার্ডের প্রাপ্যতা সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সপ্তাহে সাত দিনই প্রিপেইড কার্ড পাওয়া যাবে। তবে বর্তমানে পাঁচদিনই পাওয়া যাচ্ছে। কারণ সাপ্তাহিক ছুটির কারণে দু’দিন বন্ধ থাকছে।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের কাজকে জনবান্ধব করার লক্ষ্যে ন্যাশনাল পাবলিক সার্ভিস ডে-২০১৭ পালন উপলক্ষে বিদ্যুৎ বিভাগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বক্তারা বলেন, সরকার ২০২১ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার মেগাওয়াট, ২০৩০ সালে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালে ৬০ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছে।
তারা বলেন, বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১৫ হাজার ৩৭৯ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে এবং সারা দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে।