বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রস্তাবিত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরটা শেষপর্যন্ত না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আগের দিন দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী জ্যাক ফল প্রকাশ্যে কিছু না বললেও পরক্ষে বুঝিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রস্তাব কার্যকর করা কঠিন হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার এসোসিয়েশন (এসএসিএ)ও মনে করে এফটিপির অতিরিক্ত ক্রিকেট খেলা তাদের জন্য প্রায় অসম্ভব একটা ব্যাপার। এসএসিএ’র প্রধান নির্বাহী টনি আইরিশ ক্রিকইনফোকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের এই সূচি কার্যকর করা নিয়ে সন্দেহ আছে।
বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে বৈঠকে বসবে এসএসিএ। সেখানে ক্রিকেটারদের পক্ষে কথা বলবে প্রতিষ্ঠানটি। আইরিশ মনে করেন এই সময়ে সফর হওয়া উচিৎ নয়। তিনি বলেন,‘এফটিপির অতিরিক্ত কোনো সিরিজ খেলতে হলে এসএসিএ’র অনুমতি লাগবে। এই মুহূর্তে আমি কি বলতে পারি। নিয়মের বাইরে গিয়ে আমরা কি একটা করবো।’
এসএসিএ’র প্রধান নির্বাহী জানান, দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটার ভারতে আইপিএল খেলছেন। অনেকে কাউন্টি ক্রিকেটে খেলছে। গ্রায়েম স্মিথ গোড়ালির চোট সারাতে বিশ্রামে। এই সময় বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে এবং পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলতে হলে অন্যরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আন্তর্জাতিক সূচির ব্যস্ততায় কোন বিশ্রাম পাচ্ছেন না দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটাররা। এই জুন থেকেই আবারও ব্যস্ত হয়ে উঠবে দলটি। জুনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। এরপর জুলাইয়ে ইংল্যান্ড সফর। সেখান থেকে শ্রীলঙ্কায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা। অক্টোবর নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সফর আগে থেকে ঠিক করা। বছরটা শেষ করবে দেশের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে। এত ঠাসা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পরে বাংলাদেশের বিপক্ষে এই মে মাসে কিছুতেই খেলতে চাইবে না দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটাররা।