চূড়ান্ত পয়েন্ট নিশ্চিত হওয়ার পর দিগন্ত কাপানো একটি চিৎকার দিলেন রাফায়েল নাদাল। সাগরের গর্জনকেও ছাপিয়ে গেলো দর্শকদের করতালি। টেনিস ভক্তরা দাঁড়িয়ে অভিবাদনও করলেন তাকে। উইম্বলডন ট্রফিতে যার শোকেস ভরপুর তিনিই কিনা মন্টে কার্লোর শিরোপা জিতে এমন উল্লাস প্রকাশ করেছেন! আসলে এপিটি ট্যুরের এই টুর্নামেন্ট ফাইনালের প্রতিপক্ষ বর্তমান বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় নোভাক জকোভিচ হওয়ায় উচ্ছ্বাসটা বেশি ছিলো রাফায়েলের। মোনার্কোতে স্প্যানিশ তারকার টানা ৪২ জয়ের রেকর্ড থাকলেও জকোভিচের বিপরীতে এটিই প্রথম। এমন একটা রেকর্ডকে স্মরণীয় করে রাখতে স্প্যানিশ তারকার উদযাপনটা বাঁধভাঙ্গা হতেই পারে।
বৃহস্পতিবার দাদার মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর থেকেই জকোভিচের মন থেকে তেজি ভাবটা উবে গেছে। তাও যে তিনি ফাইনালে লড়াই করে হেরেছেন এটাও কম নয়। প্রথম সেট ৬-৩ গেমে হারের পর দ্বিতীয় সেটে একদমই প্রতিদ্বন্দ্বীতা হয়নি। প্রিয়জন হারানোর শোকে কাতর মনটাকে খেলায় নিমগ্ন করতেই পারছিলেন না জকোভিচ। শেষপর্যন্ত সেটটা হারলেন ৬-১ গেমে। ফাইনাল হারলেন সরাসরি সেটে।