মেলায় একইসঙ্গে ঠাঁই হয়েছে স্বাদু ও লোনা পানির মাছের। দেখতে বাহারি এসব মাছের নামেও রয়েছে আকর্ষণ। কালা মৌরি, চম্পা, রঙিলা, চাঁপা, কামিলা ছাড়াও রয়েছে কাউয়া, দুইধ্যা, শিং ওয়ালা বিচ্ছু, হাউলা, হিচিরি, উড়াল বিচ্ছু মাছ।
এসব মাছের বাস সাগরে হলেও এখন ইট-কাঠ আর কংক্রিটের এই নগরীতে দেশীয় নানান মাছের সঙ্গেই মিলছে এসব মাছ। তবে তবে জীবিত নয়, বোতলে সংরক্ষিত অবস্থায়।
সম্প্রতি রাজধানীর খামার বাড়িতে শুরু হওয়ায় মৎস্য মেলায় রাখা হয়েছে এসব মাছ। মেলায় আরও আনা হয়েছে স্কুইড, সাগর শসা, অক্টোপাস, ঈগল, টিকটিকি, হরিণা চিংড়ি, রাজ কাঁকড়ার মতো অদ্ভুত ও দুর্লভ মাছ।
এদিকে, বোতলে সংরক্ষিত এসব বিশেষ মাছের পাশাপাশি তাজা বিভিন্ন প্রজাতির মাছও রয়েছে মেলায়। গলদা, বাগদা, টাইগারসহ নানা প্রজাতির চিংড়ি এবং চিত্রা, পাবদা, শিল কাঁকড়া, টেংরা, পুঁটি, কৈ, গুলসা, কুচিয়া, শিং, মাগুড় এবং আরও নানান জাতের মিঠাপানির ছোট-বড় মাছ রয়েছে মেলায়।
এছাড়াও তেলাপিয়া, কার্প ও শিংসহ অনেক মাছের রেণু পোনা বিক্রি হচ্ছে মেলায়।
গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় প্রচুর ভিড় ছিল মাছের মেলায়। এদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের ভিড়ও ছিল লক্ষ্যণীয়।
‘মাছ চাষে গড়বো দেশ, পাল্টে দেব বাংলাদেশ’ স্লোগানে মৎস্য অধিদফতরের আয়োজনে গত ২০ জুলাই এ মেলা শুরু হয়। মেলার উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। মেলা চলবে ২৪ জুলাই পর্যন্ত।
মেলায় সরকারি-বেসরকারি ডজনখানেক প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এখানে মাছ ছাড়াও মাছের পোনা, খাদ্য, ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে।