বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত দ্রব্যাদি, ওষুধ, কৃষিজাত পণ্য ও কৃষি যন্ত্রপাতি আমদানিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ট্র্যান দাই কোয়াং।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী শুক্রবার ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে একথা জানান ট্র্যান দাই কোয়াং।
এ সময় তারা দুই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিল্প সংস্কৃতি ও ব্যবসা-বণিজ্য, জলবায়ুর পরিবর্তন, পর্যটনসহ দ্বি-পাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
ট্র্যান দাই কোয়াং বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম দীর্ঘ ও রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করেছে। উভয় দেশই যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থা থেকে দ্রুত উন্নতি লাভ করছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অর্থনৈতিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে।
স্পিকার বলেন, ভিয়েতনাম বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। তিনি ১৯৭১ সালে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে ভিয়েতনাম কর্তৃক স্বীকৃতি প্রদানের কথা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভিয়েতনামের মহান নেতা হো চী মিনের বন্ধুত্বের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ আথনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম উভয় দেশই কৃষি প্রধান দেশ। তিনি দুই দেশের কৃষি উন্নয়নে দ্বি-পাক্ষিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, এ ক্ষেত্রে প্রযুক্তি হস্তান্তর ও কারিগরি সহযোগিতার মাধ্যমে উভয় দেশ উপকৃত হতে পারে।
২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ২০১৫ সালে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ভিয়েতনাম সফরের কথা স্মরণ করে ট্র্যান দাই কোয়াং বলেন, এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে, যা মাইলফলক হয়ে থাকবে।
এ সময় সংসদ সদস্য ইমরান আহমেদ, পংকজ দেবনাথ, নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. আবদুর রব হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।