‘কুম্বলে-শাস্ত্রীরা আসবে যাবে, এই ভারত রয়ে যাবে’

‘কুম্বলে-শাস্ত্রীরা আসবে যাবে, এই ভারত রয়ে যাবে’

কোচের দায়িত্ব পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে মিডিয়ার মুখোমুখি হলেন শ্রীলঙ্কা যাওয়ার আগে মুম্বাইতে। অধিনায়ক কোহলিকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের বেশ কুটনৈতিক উত্তর দিয়ে গেলেন রবি শাস্ত্রী। এ সময় তিনি পরিষ্কার বার্তা দিয়ে গেলেন ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদেরকে। জানিয়ে দিলেন, ভারতীয় দলে দ্বিতীয়বার কোচের ভুমিয়ায় কোনও অতীত নিয়ে আসেননি।

রবি শাস্ত্রী বলেন, ‘না, আমি কোনও ব্যাগেজ নিয়ে আসিনি। আমি অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েছি। অভিজ্ঞ হয়েছি। গত শ্রীলঙ্কা সফর আমাকে অভিজ্ঞ করেছে। পাশাপাশি গত দু’সপ্তাহে সব কিছু দেখে বলতে পারি, আমি আরও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করলাম। আমার কাজ হল প্রতিটি ক্রিকেটারের মধ্যে সেই মানসিকতা তৈরি করে দেওয়া যা ভারতীয় ক্রিকেটকে সামনের দিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। আমার বিশ্বাস এই দলের সেই ক্ষমতা রয়েছে।’

এরপরই গত কয়েকদিন ধরে কোচ নাটক নিয়ে চলা নানা গুঞ্জনকে এক পশলাতেই উড়িয়ে দিলেন। কারও সঙ্গে বিরোধ-সঙ্ঘাত যাই থাকুক, কোনোটাকেই তিনি আর এই বক্তব্যের সামনে টিকতে দিলেন না। বলে উঠলেন, ‘রবি শাস্ত্রী, অনিল কুম্বলেরা আসবে-যাবে; কিন্তু এই ভারতীয় দল থেকে যাবে। এই ভারতীয় ক্রিকেট থাকবে। আমাদের মতো লোকেরা শুধু আসবে-যাবে। সুতরাং, এটাকে নিয়ে এত উচ্চকিত হওয়ার কিছু নেই।’

বছর দুয়েক আগে শ্রীলঙ্কা সফরে বিরাট কোহলির ভারত টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথমবার সিরিজ জিতে দেশে ফিরেছিল। তখন দলের ডিরেক্টর ছিলেন এই রবি শাস্ত্রীই। এবার আবার শ্রীলঙ্কা সফর। এই সফর দিয়েই কোচ হিসেবে নতুন ভুমিকা শুরু হচ্ছে শাস্ত্রীর। এবারও বিরাট-রবি জুটি। আবার সেই চিরপরিচিত সাপোর্ট স্টাফ। স্বভাবতই খুশি ভারত অধিনায়ক।

কোহলি বলছেন, ‘আমরা বছর দু্য়েক আগে শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়েছিলাম। তখন আমাদের দলের গড় বয়স আরও দুবছর কম ছিল। আমরা ওই সফর থেকে শিখেছিলাম যে, আমরাও পারি বিদেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিততে। ওই সফর থেকেই আমাদের মধ্যে একটা বিশ্বাস তৈরি হয়েছিল যে, আমরা বিদেশের যে কোনও পরিবেশে জিততে পারি। আমরা স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলাম।’

অনেক নাটকের পর ভরত অরুণকে সহকারী হিসেবে পেলেন রবি শাস্ত্রী। সেই অরুণের পাশেই দাঁড়ালেন শাস্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ভরত অরুণ আউটস্ট্যান্ডিং কোচ। যে লোকটা গত ১৫ বছর ধরে এই কোচিং সিস্টেমের মধ্যে রয়েছে। আমার থেকেও এই দলটা ভাল করে চেনে ভরত। সবচেয়ে বড় কথা তার পারফরমেন্স নিয়ে কথা হবে না। গত বিশ্বকাপে আমাদের বোলাররা ৮০টি উইকেটের মধ্যে ৭৭টি উইকেট পেয়েছিল ভরতের কোচিংয়ে। আসলে ভরত যদি অন্য কারও মতো একটু বেশি টেস্ট খেলত, তাহলে দেখতাম আপনারা ওকে কোথায় তুলে রাখতেন?’

আন্তর্জাতিক