বিগত ১০ বছরে যান চলাচলের গড় গতি প্রতি ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার থেকে সাত কিলোমিটার পর্যন্ত নেমে এসেছে, যা পায়ে হেঁটে চলার গড় গতি থেকে একটু বেশি। ঢাকায় যানজটের কারণে দিনে ৩২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে।
বুধবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বিশ্বব্যাংক আয়োজিত ‘টুওয়ার্ডস গ্রেট ঢাকা : এ নিউ আরবান ডেভেলপমেন্ট প্যারাডাইম ইস্টওয়ার্ড’ শীর্ষক খসড়া প্রতিবেদন উপস্থান করা হয়। প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যান্থনি ভেনাবল্স ২০৩৫ সালের দিকে ঢাকার উন্নয়নের জন্য চারটি সিমুলেশন পরিস্থিতিও উপস্থাপন করেন।
বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯৫ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে ঢাকার রাস্তা ৫ শতাংশ, জনসংখ্যা ৫০ শতাংশ এবং যান চলাচল ১৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরিকল্পিত নগরায়ন যানজট ও বাসযোগ্যতার পরিবেশের আরও অবনতি ঘটাবে এবং বাসিন্দারা বন্যা ও ভূমিকম্পের ঝুঁকির মধ্যে পড়বেন।
বিশ্ব ব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ঢাকার নগরায়ন কেন্দ্র থেকে উত্তর দিকে এবং এরপর পশ্চিমাভিমুখে সম্প্রসারিত হয়েছে। মহানগরীর পূর্ব দিকে বেশিরভাগ এলাকা এখনও গ্রামীণ তবে দ্রুত বিকাশ লাভের সুযোগ রয়েছে।
মহানগরীর প্রায় ৪০ শতাংশের সমান পূর্ব ঢাকা, গুলশানের মতো সমৃদ্ধ এলাকার ৫ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত, যা আর্থিক ও মানব সম্পদ বিনিয়োগের মাধ্যমে উন্নয়নে সহায়তা করতে পারবে। যথাযথ পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে পূর্ব ঢাকা নানা সুবিধাসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের একটি প্রাণচঞ্চল কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারে এবং তা শহরের অন্যান্য অংশের ভিড় ও যানজট কমাতে সহায়ক হবে।
প্রতিবেদনে সতর্ক করে দেয়া হয়, সঠিক ব্যবস্থাপনা না হলে, পূর্ব ঢাকার দ্রুত ও অপরিকল্পিত নগরায়ন যানজট ও বসবাসযোগ্য পরিবেশের আরও অবনতি ঘটাবে এবং বাসিন্দারা বন্যা ও ভূমিকম্পের ঝুঁকির মধ্যে পড়বেন।