কুষ্টিয়ায় শিশু ঈশিতা খাতুন (৭) ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় জাহিদ মন্ডল নামের একজনের ফাঁসির আদেশ ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম আদালত) রেজা মোহাম্মদ আলমগীর হাসান এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৫ ডিসেম্বর বিকেল ৪টার দিকে মা লিপি খাতুনের সঙ্গে মাঠে ছাগলের ঘাস কাটতে যায় ঈশিতা। ঘাস কাটা শেষে মাঠে ঈশিতাকে না পেয়ে বাড়িতে ফিরে আসে লিপি খাতুন। বাড়িতে এসেও মেয়েকে না পেয়ে লিপি খাতুন প্রতিবেশীদের নিয়ে পুনরায় মেয়েকে মাঠে খুঁজতে যায়।
খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে উত্তর যদুবয়রা গ্রামের শওকত মন্ডলের জমির স্যালো মেশিনের কাছে কচুর পাতা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় ঈশিতার মরদেহ পাওয়া যায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে জাহিদ মন্ডলসহ আরো ২ থেকে ৩ জনকে পালিয়ে যেতে দেখে প্রতিবেশীরা।
এ ঘটনার দিন নিহতের বাবা মো. ইসারুল শেখ বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় জাহিদ মন্ডলসহ (৩৫) অজ্ঞাত আরো ২/৩জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশ আসামি জাহিদ মন্ডলকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ জাহিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। পুলিশ প্রতিবেদন ও দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত বুধবার এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি জাহিদ মন্ডল আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, পুলিশ প্রতিবেদন ও স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি জাহিদ মন্ডলের বিরুদ্ধে শিশু ঈশিতা খাতুনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
আসামি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাড. মিয়া মোহম্মদ রেজাউল হক।
কুষ্টিয়া আদালতের সরকারি কৌসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বলেন, আসামি জাহিদ মন্ডল রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ রায়ে নিহতের স্বজনরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।