চিতার আগুনে বিন্দু

চিতার আগুনে বিন্দু

এ সময়ের আলোচিত অভিনেত্রী বিন্দু। যৌতুকের জন্যে তাকে চিতার আগুনে জ্বলতে হয়েছে। বর পক্ষের চাহিদা অনুযায়ী যৌতুকের টাকা যোগারে ব্যর্থ হয় তার বাবা। তাই  যৌতুকের জন্যে নিজের জীবন হারাতে হয় বিন্দুকে। রবীন্দ্রনাথের ‘নিরুপমা’ চরিত্রে এভাবেই আত্ম বিসর্জন দিয়েছেন বিন্দু।

রবীন্দ্রনাথের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে তার ছোট গল্প ‘দেনা পাওনা’ অবলম্বনে নির্মাণ করা হয়েছে একটি বিশেষ টেলিফিল্ম ‘নিরুপমা’। মিরন মহিউদ্দিনের রচনা ও সাদেক সিদ্দিকীর পরিচালনায় এ টেলিফিল্মেও নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী বিন্দু। এতে আরও অভিনয় করেছেন রাইসুল ইসলাম আসাদ, বিন্দু, সাঈদ বাবু, কে.এস. ফিরোজ, তুষার খান, আশরাফ কবির, আব্দুল হান্নান শেলী, আবু সাঈদ খান, শিরিন বকুল, সিরাজ হায়দার, নিশু রহমান, সোহেল রানা বাবু, উদয় খান, নিশো, সূবর্ণা, মিহিক, লিমা প্রমুখ।

টেলিফিল্মের কাহিনীতে দেখা যায়, অর্থবিত্তহীন রামসুন্দরের একমাত্র কন্যা নিরুপমা। প্রাপ্ত বয়স্ক কন্যাকে উপযুক্ত পাত্রে কন্যাদান করতে হবে। তা নিয়ে রামসুন্দরের অনেক চিন্তা। মন মত একটি পাত্রের খোঁজ পায়। কিন্তু পাত্র পক্ষ মোটা অংকের পণের বিনিময়ে বিয়ে দিতে সম্মতি জানায়। পণের টাকা যোগারের জন্য সুদের কারবারীর শরণাপন্ন হতে হয় রামসুন্দরকে। তবুও পুরো টাকা যোগার করতে পারেনা। এ কথা জেনে এ মুহুর্তেই বিয়ের আসর থেকে ছেলে শোভনকে নিয়ে চলে যেতে চায় রায় বাহাদুর। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেটের   চাকরি করা শোভন আত্মসম্মানের কথা চিন্তা করে। সে বাবাকে বোঝায় পণের টাকা, সোনাদানায় খাদ থাকলেও মেয়ের তো কোন দোষ নেই। যথারীতি বিয়ে হয়ে যায় তাদের। বিয়ের কিছুদিন পর শোভন চাকুরীতে যোগ দিতে চলে যায়। এদিকে নিরুপমার উপর শুরু হয় শ্বশুর বাড়ির অত্যাচার। একের পর এক অত্যাচারে অবশেষে নিমর্ম পরিস্থিতি নিরুপমার জীবন কেড়ে নেয়।

রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষে এ বিশেষ টেলিফিল্মটি ৮ মে মঙ্গলবার বেলা ৩টা ১০মিনিটে এটিএন বাংলার পর্দায় প্রচারিত হবে।

বিনোদন