সুভাষ চন্দ্র বসুর মৃত্যু কিভাবে হয়েছিল সে বিষয়টি জানতে তিনটি কমিশনকে দায়িত্ব দিয়েছিল ভারত। এর মধ্যে শাহ নওয়াজ কমিটি (১৯৫৬) এবং খোসলা কমিশন (১৯৭০) জানিয়েছিল, ১৯৪৫ সালে ১৮ আগস্ট তৎকালীন জাপান অধিকৃত তাইপেইয়ের তাইহোকু বিমানবন্দরে একটি বিমান দুর্ঘটনায় সুভাষ চন্দ্রের মৃত্যু হয়।
অপরদিকে, মুখার্জী কমিশন (১৯৯৯) জানিয়েছিল বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়নি। কিন্তু তার সম্পর্কে বিস্তারিত আর কিছু কমিশনটি থেকে জানানো হয়নি।
তবে মুখার্জী কমিশনের ওই অনুসন্ধানী তথ্য সরকার প্রত্যাখান করেছি। কিন্তু সরকার মেনে না নিলেও বিশেষজ্ঞরা কিন্তু সেখানে থেমে থাকেননি। তারা সত্য খুঁজে বের করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন।
সম্প্রতি ফরাসীভিত্তিক জে বি পি মোরের একটি গোপন নথীতে জানানো হয়েছে, ১৯৪৭ সালে সুভাষ চন্দ্র বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হননি।
সুভাষ চন্দ্র বসু তাইওয়ানে বিমান দুর্ঘটনায় মারা গেছেন এমন কোনো তথ্যও ওই নথিতে উল্লেখ করা হয়নি। ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বর থেকে তার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কেও কিছু জানা যায়নি।
ফ্রেঞ্চ সিক্রেট সার্ভিসের তথ্যমতে, সাধারণভাবে বলা হয় ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট বিমান দুর্ঘটনায় সুভাষ চন্দ্র নিহত হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি আসলে ওই দুর্ঘটনায় মারা যাননি। তিনি আসলে ইন্দো-চীনা থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তার সম্পর্কে আর কোনো তথ্য জানা যায়নি।