একাদশ সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা পেশ

একাদশ সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা পেশ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের অঙ্গীকার নিয়ে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত কর্মপরিকল্পনায় ৭টি করণীয় বিষয় সনাক্ত করা হয়েছে।

এগুলো হলো- আইনি কাঠামোসমূহ পর্যালোচনা ও সংস্কার, কর্ম-পরিকল্পনার উপর পরামর্শ গ্রহণ, সংসদীয় এলাকার নির্বাচনী সীমানা পুনঃনির্ধারণ, জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুতকরণ এবং বিতরণ, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিরীক্ষা এবং  নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট সকলের সক্ষমতা বৃদ্ধির কার্যক্রম গ্রহণ।

সোমবার রাজধানীর নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিউট সম্মেলন কক্ষে এই কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মোহাম্মদ আবুদল্লাহ। এতে নির্বাচন কমিশনাররা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

আইনি কাঠামোসমূহ পর্যালোচনা ও সংস্কার
ইসির রোডম্যাপ অনুযায়ী চলতি বছরের জুলাই থেকে আইনি কাঠামো পর্যালোচনা, প্রয়োজনীয় সংস্কারের বিষয়গুলো চিহ্নিতকরণ নির্বাচন সহায়তা ও সরবরাহ অধিশাখা/আইন অধিশাখা, আইনি কাঠামো সংস্কারের লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞ মতামত গ্রহণ, আইন সংস্কারের প্রাসঙ্গিক খসড়া প্রস্তুত করে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে আইন প্রণয়নের ব্যবস্থা নেয়া।

কর্ম-পরিকল্পনার উপর পরামর্শ গ্রহণ
কর্মপরিকল্পনা বা রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উপকারভোগী, সুবিধাভোগী শ্রেণির নাগরিকদের নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমের উপর পরামর্শ প্রদানের ক্ষেত্র সৃষ্টি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সে প্রেক্ষিতে চলতি জুলাই মাস থেকে পর্যায়ক্রমে সুশীল সমাজ, সাংবাদিক, নির্বাচন বিষয়ে অভিজ্ঞ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় হবে।

সংসদীয় এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ  
দেশের জনসংখ্যার ভিত্তিতে ৩০০টি আসন নির্ধারণ করা আছে। নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ একটি চলমান কাজ। সাধারণত প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের আগে সীমানা নির্ধারণের কাজ সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। এজন্য এ সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ শেষ করে চলতি ডিসেম্বরে নীতিমালার আলোকে বিশেষজ্ঞদের কারিগরি সহায়তায় সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে খসড়া তালিকা প্রণয়ন করবে ইসি। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে এ সংক্রান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশ করে দাবি/আপত্তি/সুপারিশ আহ্বান করবে তারা। আর এপ্রিলে ৩০০টি আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ হবে।

জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুতকরণ এবং বিতরণ 
আগামী ২৫ জুলাই থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহ করবে ইসি। সব কাজ শেষ করে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে হালনাগাদকৃত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। আর ওই বছরের জুনে ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার জন্য ভোটার তালিকা মুদ্রণ, ছবিসহ ও ছবিছাড়া ভোটার তালিকার সিডি প্রণয়ন ও বিতরণ করবে নির্বাচন কমিশন।

ভোটকেন্দ্র স্থাপন 
২০১৮ সালের জুন থেকে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র চিহ্নিত করে ন্যূনতম সুবিধাদি নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেবে ইসি। আর ভোট গ্রহণের ৩৫ দিন আগে কমিশনের অনুমোদন নিয়ে গেজেট প্রকাশ করবে। তফসিল ঘোষণার পর গেজেটে প্রকাশিত ভোটকেন্দ্রের তালিকা সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠাবে ইসি।

নতুন দলের নিবন্ধন এবং নিবন্ধিতদের নিরীক্ষা
২০১৭ সালের অক্টোবরে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন শর্ত প্রতিপালন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ, নির্বাচন সহায়তা ও সরবরাহ করবে এ সংক্রান্ত অধিশাখা। এরপর আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নতুন রাজনৈতিক দলের জন্য প্রাপ্ত আবেদন যাচাই-বাছাই করে নিবন্ধন দেয়া হবে। মার্চে প্রকাশ করা হবে নিবন্ধিত নতুন রাজনৈতিক দলের চূড়ান্ত তালিকা।

নির্বাচনে সংশ্লিষ্টদের সক্ষমতা বৃদ্ধির কার্যক্রম 
সুন্দর, সুষ্ঠু ও নিয়ম অনুযায়ী ভোট গ্রহণে ইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগামী বছরের জুলাই থেকে প্রশিক্ষণ/নির্দেশনার কর্মসূচি শুরু হবে।

বাংলাদেশ